আজ টস জিতে আগে বোলিং করতে নেমে সিলেট সানরাইজার্সকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তাদের বিশেষজ্ঞ স্পিনার তানভির ইসলামের বোলিংয়ে মিলেছে বেশ কয়েকটি বড় টার্ন। যা দেখে মুমিনুল হককেও বোলিংয়ে আনেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
কাজে লেগে যায় মুমিনুলকে বোলিং করানোর পরিকল্পনা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে রবি বোপারার উইকেট তুলে নেন মুমিনুল। পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পিনারদের দিয়েই কুমিল্লাকে প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিল সিলেট। তাদের তিন স্পিনার মোসাদ্দেক সৈকত, সোহাগ গাজী ও নাজমুল অপু মিলে নেন ৭টি উইকেট।
স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা থাকা এ উইকেটকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো বলে মনে হয়নি সিলেটের উইকেটরক্ষক ব্যাটার এনামুল হক বিজয়ের।
ম্যাচ শেষে বিজয় বলেছেন, আসলে আমাদের কাছে উইকেটটা টি-টোয়েন্টির মতো মনে হয়নি। ব্যাটিং করা বেশ কঠিন ছিল ব্যাটারদের জন্য। উইকেট ভেজা ছিল, টার্ন ছিল। যে কারণে ব্যাটাররা কমফর্টেবলি খেলতে পারেনি এটাও সত্য।
তিনি বলেন, দুইটা দলই একইভাবে খেলেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে কঠিনই মনে হয়েছে। সবার কাছেই আসলে কঠিন মনে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে একটু কঠিন এমন উইকেট থাকলে রান বের করা। ওভারল এ কারণেই আমার কাছে মনে হয়েছে রানটা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, উইকেট তো আমরা সবাই-ই দেখেছি প্রত্যাশানুযায়ী ওইরকম পাইনি। টসটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যদি টসে জিততাম, আমরাও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতাম। আপনারা সবাই দেখেছেন কী পরিমাণ টার্ন হচ্ছিল। বল কাট করছিল। তো একটু কঠিন ছিল ব্যাটারদের জন্য। একটু নয়, অনেকখানিই কঠিন ছিল।
বিজয় বলেন, আসলে প্রথমেই আমরা দেখেছি রানটা একটু কম হয়ে গেছে। উইকেট অনুযায়ী আমাদের ব্যাটাররা একটু হলেও তাড়াহুড়ো করেছি আমরা। ওই জায়গায় আমরা যদি একটু সময় নিতে পারতাম, আর কিছু রান করতে পারতাম… আর ২০টা রান বেশি হলেও খেলাটা জমতে পারতো।