গার্দিওলা নিজেকে প্রথম চিনিয়েছেন বার্সেলোনাকে ট্রেবল জিতিয়ে। তারপর বার্সেলোনা ছেড়ে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে বায়ার্নে চলে গেলেন তিনি। সেখানেও যেনো কম জাননা। বার্সেলোনাকে ১৪ শিরোপা জেতানোর পর ৭ শিরোপা জিতিয়েছিলেন বায়ার্নকে। ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পরও শিরোপা ক্ষুধা শেষ হয়নি তার। বরং বেড়েছে দিন দিন। এই সিজনে প্রিমিয়ার লীগ জয়ের দৌড়ে তো প্রথম ২ এ আছেনই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ আটেও তুলেছেন দলকে।
ম্যানচেস্টার সিটিতে কোনো খেলোয়াড় কেনায় বাধা নেই পেপ গার্দিওলার। সিটিতে কোচ হয়ে আসার পর এরই মধ্যে ১ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি টাকার খেলোয়াড় কিনেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড় কেনার জন্য এতো টাকা গার্দিওলা কীভাবে পান তা অনেকের কাছেই ছিল বিস্ময়। টাকাটা সিটি মালিকই দেন কিন্তু তার পকেট থেকে বের করতে হয় তো গার্দিওলাকেই।
বিলিয়ন পাউন্ডের খেলোয়াড় কেনার জন্য গার্দিওলা টাকা কিভাবে পান সে বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন গার্দিওলার সাবেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সভাপতি হোয়েনেস। যেহেতু হোয়েনেসের ক্লাবেরই কোচ ছিলেন গার্দিওলা তাই এখনো এই জার্মান কিংবদন্তির সাথে ভালোই সম্পর্ক আছে তার। সিটির মালিক শেখ মনসুর আল নাহিয়ানকে খেলোয়াড় কেনার ব্যাপারে কিভাবে পটান গার্দিওলা, সে কৌশলই নাকি হোয়েনেসকে বলেছেন তিনি। আসুন হোয়েনেসের মুখ থেকেই জেনে নিই সেই কৌশলের ব্যাপারে?
‘আমার বন্ধু পেপ (গার্দিওলা) আমাকে একবার বলেছিলেন ১০০ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি দামের কোনো খেলোয়াড় কিনলে সিটির মালিক মনসুর আল নাহিয়ান কী করে, সেই ব্যাপারে। ১০০ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি দামের কোনো খেলোয়াড়কে সিটির জন্য কিনতে চাইলে প্রথমে গার্দিওলা সেই খেলোয়াড়ের ভালো খেলার একগাদা ভিডিও ক্লিপ জোগাড় করেন। তারপর সেই ভিডিও ক্লিপগুলো নিয়ে তিনি শেখ মনসুরের সঙ্গে দেখা করতে যান। মনসুরের সঙ্গে কথাবার্তা বলে একসঙ্গে খাবার খেতে বসেন তারা। তখনই গার্দিওলা ভিডিওগুলো চালু করে দেন, যাতে খেতে খেতে মনসুর সে ভিডিওটা দেখতে পারেন। পরে খেলোয়াড়ের কারিকুরি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলে সিটির অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়ে দেন মনসুর। খেলোয়াড়কে কিনতে যে বাড়তি খরচ হলো, সেই অর্থ আবার ফিরে পাওয়ার জন্য মনসুর পরের দিন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেন! ফলে অনায়াসে পকেট ভারী হয়ে যায় তার!’
হোয়েনেসের বক্তব্য ঠিক থাকলে বোঝা যায় রিয়াদ মাহরেজ, আয়মেরিক লাপোর্তে, কাইল ওয়াকার, কেভিন ডে ব্রুইনিয়া মতো খেলোয়াড়দের কিনতে হয়তো এই পদ্ধতি ব্যাবহার করেছিলেন গার্দিওলা!