ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের পরাজিত হলো বিসিবি একাদশ। প্রথমে ব্যাট করে মুশফিক-সাব্বিরদের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্য ১৭.২ ওভারে পেরিয়ে যায় তারা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচের দলে থাকা মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বিবিসি একাদশের হয় আজ খেললেও পারফরমেন্সে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি।
বাংলাদেশের দেওয়া ছোটো রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাসাকাদজা ও টেলর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। তারা দুজনে ৪.৫ ওভারে ৪২ রান যোগ করেন। আফিফ হোসেন ২৩ বলে ৬ চারে ৩১ রান করা মাসাকাদকে ফিরিয়ে এই জুটির লাগাম টেনে ধরেন।
পরের দুই ব্যাটসম্যান ক্রেগ আরভিন ও শন উইলিয়ামকে দলীয় ৬৬ রানের মধ্যে ফিরিয়ে দেন আফিফ। তবে পরবর্তীতে চতুর্থ উইকেটে টেলর ও টিমাইসেন মারুমার অবিচ্ছিন্ন ৭৮ রানের জুটিতে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।
টেলর ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ ও মারুমা ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে সাত উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আফিফ চার ওভারে ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। সাইফউদ্দিন তিন ওভারে ২০ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাওয়া নতুন মুখ ইয়াসিন দুই ওভারে খরচ করেন ২২ রান।
এর আগে টসে জিতে বিসিবি একাদশের হয়ে কেউই বড় রান সংগ্রহ করেত পারেননি। উদ্ধোধনী জুটিতে সাইফ ও নাইম জুটি তোলেন ২৬ রান। এরপর সাইফ ১৯ বল থেকে ১টি করে চার ছক্কায ২১ রান করে এল বি ডব্লিই হন। অন্য ওপেনার নাইম ১৪ বল থেকে ৫টি বাউন্ডারির মারে ২৩ রান করেন।
তৃতীয় উইকেটে সাব্বির ও মুশফিক ৫৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় শতক পেরোনোর পর এই দুই ব্যাটসম্যানকেই প্যাভিলনে ফেরত পাঠান শেন উইলিয়াম। সাব্বির ৩১ বল থেকে ১টি ছক্কার মারে ৩০ রান আর মুশফিক ২৬ বল খেকে ২টি বাউন্ডারিতে ২৬ রান করেন।
এরপর শেষ পাঁচ ওভারে বিসিবি একাদশে আফিফ হোসেন ৮ বল থেকে ১০ ও আরিফুল ৪ বল থেকে ৯ রান করায ১৪২ রানের সংগ্রহ পায়।
জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে শেন উইলিয়াশ ৪ ওভারে ১৮ রান নিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মাডজিভিয়া নেন ২টি উইকেট। এছাজা জার্ভিস ও চাতারা নেন ১টি করে উইকেট।