এগোনোর লক্ষ্যে শুরুতেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। ৪৫ রানে নেই ৬ উইকেট, বিপদের মুখে তরুণ দুই সেনানী আফিফ হোসেন আর মেহেদি মিরাজের কড়া জবাব। ৭ম উইকেটে ১৭৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে আফগানিস্তানকে কাঁদিয়ে কষ্টার্জিত জয় ছিনিয়ে নেয় তামিম ইকবাল বিগ্রেড।
সিরিজে এক পা এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৬ রান৷ তবে সেই লক্ষ্যে শুরুতেই হোঁচট খায় তারা। দলনেতা তামিম (৮) ও লিটন দাসের (১) ওপেনিং জুটি স্থায়ী হয় মোটে ১৫ বল। একই ওভারে উভয়কে সাজঘরে পাঠান বাঁ-হাতি পেসার ফজল হক ফারুকী। ১০ রানে তিনে নামা সাকিব কাটা পড়েন মুজিবের স্পিনে।
মুশফিক আর ইয়াসির ফেরেন দলকে আরো বিপদের মুখে ফেলে যথাক্রমে ৩ এবং ০ রানে। এবারেও এই দুইয়ের শিকারী প্রত্যয়ী ফারুকীই। রিয়াদও হাঁটেন আগের ব্যাটারদের দেখানো পথে ৮ রানে, তাকে ফিরিয়ে বল হাতে নিজের স্পেলের দ্বিতীয় বলেই সফলতার মুখ দেখেন রশিদ।
এদিকে দলীয় ফিফটির আগেই প্রথম সারির ছয় ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক দল। সেখান থেকে তরুণ আফিফ হোসেন আর মেহেদী মিরাজ রানের চাকা সচল রাখেন। ৫৮ বলে ৫০ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন উভয়ে মিলে। এই দুইয়ের ব্যাটে ইনিংসের মধ্যভাগে শক্তপোক্ত প্রত্যাবর্তন করে টাইগাররা।
রশিদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৬৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন আফিফ। কয়েক ওভার পরে হুক শটে বাউন্ডারি মেরে অর্ধশতক হাঁকান মিরাজ। ফিফটির মাইলফলক পেরিয়ে দলকে জয়ের দিকে আস্তেধীরে টানতে থাকেন এই দুই নবীন। অবশেষে আর কোন বিপদ না ঘটিয়ে ৭ বল হাতে রেখে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে লিড নেয় বাংলাদেশ। আফিফ ৯৩ এবং মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে জিতে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২১৫ রানে অল-আউট হয় আফগানিস্তান। সফরকারীদের পক্ষে নাজিবুল্লাহ একক লড়াইয়ে ৬৭ রান করেন। ভালো শুরু করেও রহমত শাহ ৩৪ এবং সাঈদী ২৮ রানে ফিরে যান।
টাইগারদের হয়ে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট লাভ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিব, তাসকিন এবং শরিফুলের খাতে জমা পড়ে দুটি করে সাফল্য। ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে কিপটে বোলিং প্রদর্শনী আর ব্যাটিংয়ে দলকে জয় এনে দেওয়ায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
বিডি স্পোর্টস নিউজ / বিপ্রতীপ দাস