চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৮ রানের জয় দিয়ে সিরিজ নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় দিয়ে ঘরের মাঠের এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচই জিতে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে টাইগাররা।
এদিন আফগানিস্তানকে ৩০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিলো বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২১৮ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন নাজিব উল্লাহ জাদরান। আর রহমত শাহর ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। টাইগারদের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান।
৩০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রান আউটের ফাঁদে পড়ে আউট হন রিয়াজ হাসান। মাত্র এক রান করেই লিটন দাসের সরাসরি থ্রোতে আউট হন আফগান ওপেনার। এরপর আফগান শিবিরে ছোবল দেন শরিফুল ইসলাম।
৩ বলে ৫ রান করা হাশমতউল্লাহ শাহিদি শরিফুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর পাওয়ার প্লে’তে সাকিবের বলে স্ট্যাম্পিং হন আজমত উল্লাহ ওমরজাই।
৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের ত্রাতা হয়ে আসেন নাজিব ও রহমত। তাদের ধীরগতির ৮৯ রানের জুটিতে এগোতে থাকে সফরকারীরা। দলীয় ১২৩ রানে নাজিব ও ১৪০ রানে রহমতকে বিদায় করেন তাসকিন আহমেদ।
এরপরের বাকি কাজটুকু করেছেন টাইগার স্পিনাররা। সাকিব-মিরাজ-আফিফ-মাহমুদউল্লাহ’র ঘুর্নিতে আফগানদের শেষ দেখে ছাড়ে টাইগাররা। অবশেষে ২১৮ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা।
এর আগে লিটন-মুশফিকের ডাবল হান্ড্রেডের নান্দনিক জুটিতে আফগানদের ৩০৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিতে লিটন দাস ১৬ বাউন্ডারি ও দুই ছক্কা হাঁকান। আফগানিস্তানের হয়ে ফরিদ দুটি আর ফারুকী এবং রশিদ একটি করে উইকেট পান।
১২৬ বলে ১৩৬ রান করে লিটন ফেরেন ফরিদ আহমেদের ডেলিভারিতে। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে আসে ৯ বাউন্ডারিতে ৮৬ রানের দৃষ্টিনন্দন ব্যাক্তিগত ইনিংস। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে, দলকে জেতানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন লিটন কুমার দাস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ : ৩০৬/৪ (৫০ ওভার)
লিটন ১৩৬, মুশফিক ৮৬, সাকিব ২০
ফরিদ ৫৬/২, রশিদ ৫৪/১
আফগানিস্তান : ২১৮/১০ (৪৫.১ ওভার)
নাজিবউল্লাহ ৫৪, রহমত ৫২
সাকিব ২৯/২, তাসকিন ৩১/২
ফল : বাংলাদেশ ৮৮ রানে জয়ী।