আর একদিন পরই ভারতের মাটিতে বসতে যাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল। প্রায় দেড় মাসের এই ক্রিকেট যঙ্গ শেষ হওয়ার পরই ইংল্যান্ডে যাবে ভারতীয় দল। সেখানে শুরু হবে ভারতের বিশ্বকাপ মিশনের সূচনা। আসন্ন বিশ্বকাপে কোহলির দলকে ফেবারিটের তালিকায় রাখছে সকলেই। তবে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত বিশ্বকাপ জিতলেও কোহলিদের হেড কোচের পদে বদল আসতে পারে।
বিশ্বকাপের ভারতের মিশন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রবির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তির মেয়ার শেষ হচ্ছে। কারণ কোচের সঙ্গে চুক্তিতে বিসিসিআই চাকরি নবীকরণ অথবা বর্ধিত করার কোনও শর্ত উল্লেখ করেনি৷ তাই বিশ্বকাপের পর তাঁকে নতুন করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কোহলিদের কোচের পদে পুনরায় আসীন হতে হবে৷ অবশ্য এক্ষেত্রে তাঁকে নতুন করে আবেদন করতে হবে না৷ বর্তমান কোচ হিসাবে সরাসরি বাছাই করা প্রার্থীদের মধ্যে সাক্ষাৎকারের জন্য গণ্য হবেন শাস্ত্রী৷
বিশ্বকাপের পরেই শাস্ত্রী ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে বিসিসিআই-এর চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্রের খবর, জুলাই মাসের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে ভারতীয় দল। তার আগেই নতুন কোচ নিয়োগের বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের পরেই শাস্ত্রীসহ টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি শেষ হচ্ছে৷ যেহেতু চুক্তিতে মেয়াদ বাড়ানো বা পুনর্নিয়োগের কোনও শর্ত নেই, তাই বোর্ডকে নতুন করে ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপণ দিতে হবে কোচ নিয়োগের৷ শাস্ত্রী ডাইরেক্ট এন্ট্রির সুযোগ পেলেও নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তবেই নতুন করে চুক্তি করতে পারবেন বোর্ডের সঙ্গে৷’
২০১৭ সালের জুলাইয়ে শাস্ত্রী, ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার, বোলিং কোচ ভরত অরুণ ও ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরকে নিয়োগ করা হয়। বিসিসিআই সূত্রে খবর, ফের সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠিত ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিই নয়া কোচ বাছাই করার দায়িত্ব পাবে। শাস্ত্রী সরাসরি শর্টলিস্টে জায়গা পাবেন। ইন্টারভিউয়ে বাকিদেরও ডাকা হবে। তাঁদের মধ্যে থেকেই কোনও একজনকে ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হবে।