বিপ্রতীপ দাস: ঢাকা-সিলেট ম্যাচে মাঠের লড়াই ছাপিয়ে সর্বপ্রথম ছিল এক বছরেরও বেশি সময় বাদে বাইশগজে মাশরাফি বিন মর্তুজার প্রত্যাবর্তন। বল হাতে ম্যাশের গড়পড়তা পারফরম্যান্সের দিনে তার দল মিনিস্টার ঢাকা সিলেট সানরাইজার্সের নিকট হেরেছে ৭ উইকেটে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকা, সিলেট বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। পাওয়ারপ্লেতে ২২ রান তুলতেই তিন উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রাসেলও ফিরে যান খালি হাতে।
প্রত্যয়ী শুরু করেও অধিনায়ক রিয়াদ ফেরেন ৩৩ রানে। শুভাগত হোম খেলেন ২১ রানের এক ছোট ইনিংস। কার্যত উভয়কেই নিজের শিকার বানিয়ে নাজমুল অপু ঢাকার ব্যাটিংয়ের লাগামটা টেনে ধরেন। ব্যাট হাতে মাশরাফি করেন মাত্র ২ রান।
সিলেটের পক্ষে অপু ৪টি, তাসকিন ২টি এবং সোহাগ গাজী ২টি করে উইকেট দখল করেন। ৮ বল বাকি থাকতেই একেবারে কাটায় কাটায় ১০০ রানে মুড়িয়ে যায় রিয়াদের দল।
মামুলি লক্ষ্য অর্জনে সিলেট শিবিরে শুরুতেই ধাক্কা দেন ম্যাশ। লেন্ডল সিমন্সকে ফেরান ১৬ রানে। এরপরে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে টানতে থাকেন ওপেনার আনামুল হক বিজয়। তবে বিপত্তি বাঁধান হাসান মিথুন। মুরাদের স্পিন ভেল্কিবাজিতে কাটা পড়েন ১৭ রান করে।
জয়ের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে ৫ রানের আক্ষেপে পোড়েন বিজয়। ম্যাশের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ৪৫ রানে। ইনগ্রাম ২১ এবং বোপারা ১ রানে অপরাজিত থাকেন। বোলিংয়ে প্রতাপ দেখানো অপু জেতেন ম্যাচ সেরার খেতাব। আসরের প্রথম জয়ে পয়েন্ট তালিকায় এখন তিনে অবস্থান মোসাদ্দেকদের, বিপরীতে চার ম্যাচের তিন ম্যাচে ধরাশায়ী ঢাকা রয়েছে একেবারে তলানিতে।