টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন শনিবার (১৫ অক্টোবর) হঠাৎ করেই ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘অ্যারেস্ট কোহলি’ ট্রেন্ডিং শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ কি এমন হলো আর কেনই বা কোহলিকে গ্রেফতার করতে হবে এটা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে।
এসব প্রশ্নের উওর খুঁজতে গিয়ে উন্মোচন হলো নতুন ঘটনার। জানা গেলো ভারতের ক্রিকেটের দুই ধ্রুবতারা বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে নিয়ে চলছিল বিতর্ক। আর সেই তর্ক-বির্তকের সূত্র ধরেই কোহলি সমর্থকের হাতে খুন হয়ে গেলেন রোহিত শর্মার ভক্ত। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুতে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা-নামিবিয়ার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, পি ভিগনেশ এবং ধর্মরাজ নামের দুই বন্ধু কোহলি ও রোহিতকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন। দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ভিগনেশ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং রোহিত শর্মাকে সমর্থন করছিলেন। অন্যদিকে, ধর্মরাজ ছিলেন কট্টর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ভক্ত। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ধর্মরাজ। বোতল নিয়ে ভিগনেশকে মেরেছিলেন তিনি। তারপর ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মাথায় মারেন। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে প্রাণ হারান ভিগনেশ।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে ভারত
এরপর বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে ভিগনেশের মরদেহ উদ্ধার করেন কয়েকজন দিনমজুর। তারা খবর দেন স্থানীয় পুলিশকে। পুলিশ তারপরে ভিগনেশের মরদেহ আরিয়ালুরের সরকারি হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। তারপরেই একটি মামলা রুজু করা হয়। পরে অভিযুক্ত ধর্মরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনার পর থেকেই বিরাট কোহলিকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয় টুইটারে। কিন্তু কেন কোহলিকে গ্রেফতারে দাবি উঠছে তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই।
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএ