বিপ্রতীপ দাস: এলিট ফরম্যাটে কাপ্তানির পদটা এখন শুন্য ভারতের ক্রিকেটে। কোহলির উত্তরসূরীর পদে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে আছেন বর্তমান সাদা বলের দলনেতা রোহিত শর্মা। তবে, রোহিত-কোহলির অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় দলকে সামাল দেওয়া লোকেশ রাহুলের নামটাও অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে চলে আসে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে রোহিতের ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া সিমার যসপ্রীত বুমরাহও সাদা পোশাকে অধিনায়কত্বের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কোহলির ফাঁকা স্থান পূরণে আরো কিছুটা সময় নেবে। তার আগে ইতিমধ্যেই অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই নিজেদের পছন্দের কাপ্তান বেছে নিয়েছেন। এই যেমন দেশটির সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার আগামী দিনে লাল বলে ভারতের সেনানায়ককের পদে খুনে ব্যাটিং স্বভাবের তরুণ কিপার ব্যাটার ঋসভ পন্থকে দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, নির্ভার বুমরাহর কথায় স্পষ্টত ম্যানেজমেন্ট তাকে কাপ্তানির দায়িত্বের প্রস্তাব দিলে তিনি কোনপ্রকার সাতপাঁচ না ভেবে আনন্দের সাথে তা গ্রহণ করে নেবেন।
জানান, ‘লিডারশিপের প্রস্তাব পেলে আমি তা সাগ্রহে আলিঙ্গন করে নিব। দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা যেকোন ক্রিকেটারের জন্যই অতীব সম্মানের। আর মনে হয় না এতে কেউ নিজে থেকে অসম্মতি জানায়, আমিও ব্যতিক্রম নই। তবে আমি যেকোন কাজেই আমার সেরাটা দিতে চাই। আর আমার উপরে এখন কোন বাড়তি চাপ নেই, সুযোগ এলে সেটা লুফে নিতে আমি প্রস্তুত।’
যোগ করেন, ‘দলের দায়িত্ব নেওয়া মানে সহযোদ্ধাদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা, যে গুণ আমার মাঝে আছে বলে আমি মনে করি। আর এটা ভবিষ্যতেও যেকোন পরিস্থিতিতেই বহাল থাকবে।’
ক্রিকেটে এক ধরনের প্রথা চালু রয়েছে, পেসারদের ইনজুরি আর শারীরিক এবং মানসিক ধকলের কথা আমলে নিয়ে কাপ্তানির গুরু দায়িত্ব থেকে সচরাচর দূরে রাখা হয়। তবে অনেক দেশই এই প্রথার বিপরীতে হেঁটে সাফল্য পেয়েছে। ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়া অধিনায়ক কপিল দেব ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এছাড়া ওয়াসিম-ওয়াকারের সাথে টাইগারদের প্রাক্তন সেনাপ্রধান মাশরাফিও দলকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর সবশেষ সফলতার নজির রেখেছেন অজিদের অ্যাশেজ জেতানো দলপতি পেসার প্যাট কামিন্স।