ভারতের হয়ে ১৭ বছরের রঙচঙে ক্যারিয়ার। অথচ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাননি টিম ইন্ডিয়ার সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং। শুধুমাত্র অধিনায়কত্বই নয়, খেলাটাও ছাড়তে হয়েছে অবজ্ঞার শিকার হয়ে। তাই তো, এবারে চাপা কষ্টের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই প্রাক্তনি।
অফ স্পিনারের কথায়, ‘২০১২ সালের পর অনেক কিছুই ঘটেছে, যেগুলো না হলেই ভালো হতো। বিরেন্দ্র শেবাগ, আমি, যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীর ভারতের হয়ে খেলতে খেলতেই অবসর নিতে পারতাম। কারণ তখনও আমরা আইপিএল খেলি। ভাবলে অবাক লাগে, ২০১১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটা তারপর আর কখনও একসঙ্গে খেলেনি। পরের বিশ্বকাপে হাতে গোনা কয়েক জন খেলেছিল। কেন এটা হবে?’
এদিকে একটা গুঞ্জন প্রচলিত রয়েছে ভারতের ক্রিকেটে। মহেন্দ্র সিং ধোনির কারণেই ক্যারিয়ারের শেষদিকে প্রাপ্য সম্মান পায়নি সিনিয়র ক্রিকেটাররা। কিন্তু, ধোনিকে নিয়ে কোন ক্ষোভ নেই ভাজ্জির। বরং তিনি দুষেছেন তৎকালীন নির্বাচক প্যানেল এবং বোর্ড কর্তাদের।
যোগ করেন, ‘ধোনির সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। আর ও তো আর আমার বিয়ে করা স্ত্রী না। মাহির বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। বরং আমরা খুব ভাল বন্ধু। আমার রাগ বোর্ডের উপর। তখনকার সরকারের উপর। বিসিসিআই-কে আমি সরকারই বলতাম। সেই সময়ে নির্বাচকরা নিজের কাজটা ঠিক মতো করতে পারেননি। ওরা দলটাকে এক হতে দেয়নি।
‘যখন সিনিয়ররা ভালো খেলছে এবং দলকে জেতাচ্ছে, তখন তো জোর করে তরুণদের দলে নেওয়ার কোনও মানে হয় না। এই নিয়ে নির্বাচকদের প্রশ্ন করেছিলাম। জবাব ছিল, এটা ওদের হাতে নেই। তখন জিজ্ঞেসই করে ফেলেছিলাম, তা হলে আপনারা নির্বাচক হিসেবে রয়েছেন কী করতে?’
অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের মন্তব্য, ‘বোর্ডে তখন এমন কেউ ছিলো না যে আমার হয়ে গলা ফাটাতো। দেশের অধিনায়ক হতে গেলে এটার দরকার হয়। ক্ষমতায় যারা থাকেন, তাদের প্রিয় না হলে এই সম্মান পাওয়া যায় না। আমি জানি দেশের অধিনায়কত্ব করার ক্ষেত্রে আমি কতটা যোগ্য। যাই হোক, এখন আমার এই নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই।’
বিডি স্পোর্টস নিউজ / বিপ্রতীপ দাস