গতকাল নিউজিল্যান্ডে জিম করেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে সেখানে দেখা মিলেনি অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকসহ ৯ জনের।
এমনকি অনুশীলনেও থাকতে পারবেন না তারা। বাড়ানো হয়েছে তাদের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ। হঠাৎ করেই কেন এমন হলো?
জানা যায়, করোনা আক্রান্ত এক বিমান যাত্রীর কারণে নিউজিল্যান্ড বিমানবন্দরে নেমেই জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও স্টাফদের ভিন্ন ৩ রঙের (বেগুনি, হলুদ ও নীল) ব্যান্ড হাতে পরিয়ে দেয়া হয়েছিল দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে।
যদিও দেশ ছাড়ার পূর্বে কিউই ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ কমিয়েছিল বিসিবি। ১৪ দিনের বদলে ৭ দিনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর ভেতর ৩ দিনের রুম কোয়ারেন্টিন। কথা ছিল বাকি ৪ দিন গ্রুপে ভাগ হয়ে জিম ও অনুশীলনের সুযোগ পাবে টাইগাররা।
নিউজিল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘৪ জন ক্রিকেটারের মধ্যে অধিনায়ক মুমিনুল, ফজলে রাব্বি ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, আমি নিজেসহ ৯ জনকে ২০ তারিখ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
আমরা কাল থেকে অন্যদের সঙ্গে বের হতে পারছি না। বাংলাদেশ থেকে বিমানে আসার সময় এক যাত্রীর করোনা ধরা পড়ে। তার আশে পাশে আমরা যে ৯ জন ছিলাম তাদের কোয়ারেন্টিনের সময় বাড়নো হয়েছে।’
করোনা আক্রান্ত যাত্রীর আশেপাশে থাকায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের তিন ধরনের ব্যান্ড পরে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এই বিষয়ে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে নামার পরই আমাদের প্রত্যেকের হাতে ব্যান্ড পরিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে আছি। আমার আর (ওটিস) গিবসনের সামান্য কাশি আছে। তাই আমাদের পার্পল ব্যান্ড পরানো হয়েছে।
আমাদের সবাইকেই রুম থেকে একবার খোলা জায়গায় যেতে দেয়া হয়। তবে ব্যান্ডের রং অনুযায়ী গ্রুপে গ্রুপে। এর মধ্যে আমার আর ওটিসেরটা একটু ভিন্ন। সিকিউরিটির লোকজন আসার পর বের হই। আমাদের দু’জনের জন্য বলা আছে, যেন কোথাও স্পর্শ না করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যান্ড পরানো হয়েছে তাদের কাল (আজ) থেকে অনুশীলন করতে কোন বাধা নেই। আমরা ২০ তারিখ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকবো। তার মানে আমাদের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ এখন ১০ দিনের।’