ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পেলো বাংলাদেশ। শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর সপ্তম উইকেটে আফিফ ও মোসাদ্দেকের ৪৭ বল থেকে ৮২ রানের জুটিতে দুই বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয় পেলো বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা আফিফ হোসেন।
১৮ ওভারে ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য ও লিটনের উদ্ধোধনী জুটিতে আসে ২৬ রান। এর পরেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ২৬-২৯ এর মধ্যেই ফিরে যায় টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। লিটন ১২ বল থেকে ১৯ রান করলেও বাকি তিন ব্যাটসম্যান সাকিব ১, সৌম্য ৪ ও মুশফিক ফেরেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে।
পঞ্চম উইকেটে বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির। তবে এই জুটির ২৭ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লিই করেন বার্ল। ১৬ বল থেকে ২টি বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন রিয়াদ। ৪ রানের ব্যবধানে সাব্বির ফেরেন ১৫ রানে।
ইনিংসের দশম ওভারে ৬০ রানে ৬টি উইকেট হারানো বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন আফিফ ও মোসাদ্দেক। এই জুটিতে ৩১ বল থেকে অর্ধশতক পূরণ করে তারা।
২৪ বল থেকে ইনিংসের ১৭তম ওভারে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ। তবে জয় নিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৫২ রান নিয়ে মাদজিবার বলে আউট হন তিনি।
আফিফের বিদায়ের পরের দুই বলে সাইফউদ্দিন বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এ সময় ২৪ বল থেকে ২টি বাউন্ডারিতে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।
জিম্বাবুয়ের হয়ে জার্ভিস ৩১ রানে ও চেতারা ৩২ রানে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া মাডজাভিস ২টি ও বার্ল নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করেতে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৪ রানে করে জিম্বাবুয়ে। তাদের হয়ে ৩২ বল থেকে ৫৭ রান করেন বার্ল।