একসময় তিনি নিজে ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর প্লেয়ার। কিন্তু সেই পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই একহাত নিলেন অশোক দিন্দা। কেন? দায়িত্বজ্ঞানহীন টুইটের জন্য।
ঘটনার সূত্রপাত, ব্যাঙ্গালুরু বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রচলিত ধারা আছে, কোনও বোলার প্রচুর রান দিলেই, তাঁকে ‘দিন্দা অ্যাকাডেমি’-র বোলার বলে ট্রোল করা হয়। আরসিবি-র বোলার উমেশ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছিল। কারণ, এই মরশুমে দুজনের পারফরমেন্স ভাল নয়। তবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে উমেশ ভাল বল করে দলকে জিতিয়েছেন। তার পরই আরসিবি-র অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে উমেশ যাদবের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘দিন্দা অ্যাকাডেমি? সেটা কী?’ আরসিবি পরে অবশ্য এই টুইট মুছে দেয় অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে ঘটনার দিন কয়েক বাদে অশোক দিন্দা এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ইনস্টাগ্রামে নিজের ঘরোয়া ক্রিকেটের রেকর্ড পোস্ট করেন তিনি। পরে টুইটও করেন, ‘আরসিবি-র ওই টুইটের পর আমার বিস্তর সমালোচনা করা হয়েছে। তাও আমি কিছু বলিনি।
কিন্তু একটা সময়ের পর লোকে আমার পরিবার, আমার স্ত্রী, মেয়েকে উদ্দেশ করে খারাপ খারাপ মন্তব্য করতে শুরু করে। একজন বাবা হয়ে আমি কী করে সেটা সহ্য করি বলুন তো? এসব দেখে চিন্তা হচ্ছে, সমাজটা ঠিক কোন পথে এগোচ্ছে! আমার প্রশ্ন হল, আরসিবি কেন এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন পোস্ট করল একজন প্লেয়ার সম্পর্কে? জেনে রাখুন, টি২০-তে আমার রেকর্ড কিন্তু যথেষ্টই ভাল। ফ্র্যাঞ্চাইজির মতেই। ব্যক্তিগতভাবে আমার কারও ওপর রাগ নেই। যে দলে বিরাট, ডি’ভিলিয়ার্সের মতো প্লেয়ার আছে, সেই দলের প্রতি বরবারই আগ্রহ আছে। একসময় তো আরসিবি আমার ঘরই ছিল। তাই এমন টুইটের মানেটা কী? আরসিবি জবাব দিতে কিন্তু বাধ্য।’
এক নজরে দিন্দার বোলিং ক্যারিয়ার
দিন্দা ১১৫ টি প্রথম শ্রেণীর ১১৫ ম্যাচে ২৮.৩৫ গড়ে ৪১৭ উইকেট নিয়েছেন।ইকোনমি রেট ৩.১০।
ভারতীয় দলের হয়ে ১৩ টি একদিনের ম্যাচ খেলে ৪৯.৫ স্ট্রাইক রেটে ১২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইকোনমি রেট ৬.১৮। ভারতের হয়ে নয়টি টি ২০ ম্যাচে ১০.৫ স্ট্রাইক রেটে ১৭ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আইপিএলে ৭৮ ম্যাচে ৮.২ ইকোনমি রেটে ৬৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ২১.৯৭।