বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে লর্ডসে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়লো অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চের ১০০ রানে ভর করে তারা ২৮৫ রানের সংগ্রহ পেলো। তবে ইনিংসের মিডল ওভারে ফিঞ্চের বিদায়ের পর ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিছিলে যোগ না দিলে আরো বড় সংগ্রহ পেতো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বড় ম্যাচে অস্টেলিয়ার দুই উদ্ধোধনী ব্যাটসম্যান ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার ১২৩ রান তোলেন। এই জুটিতে প্রথম প্রতিরোধ গড়েন মইল আলী। ওয়ার্নারকে ৫৩ রানে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা খাজাকে ২৩ রানের বেশি করতে দেননি স্টোকস। খাজার বিদায়ের পর ক্রিজে ব্যাট করতে আসা স্মিথকে নিয়ে আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক ফিঞ্চ।
ফিঞ্চের সেঞ্চুরি আসে ১১৫ বল থেকে। এ সময় ১১টি চার ও ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। তবে সেঞ্চুরি পূরণের পরের বলেই ফিঞ্চকে প্যাভিলিয়ন মুখী করেন আর্চার।
ফিঞ্চের বিদায়ে পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২২৮ রানের মধ্যেই এক এক করে ফিরে যান ম্যাক্সওয়েল (১২), স্টনিস (৮)। তবে এ সময় কিছুটা ব্যাট চালিয়ে খেলা স্মিথকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লড়াই করে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু স্টনিস ফেরার ১৮ রানের ব্যবধানে স্মিথের বিদায় ঘন্টা বাজান ওকস। স্মিথ ৩৪ বল থেকে ৩৮ রান করেন। স্মিথের বিদায়ের পর শেষ ২৮ বল থেকে ৩৫ রান তোলে।
অসিজের হয়ে শেষ দিকে ২৭ বল থেকে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে নেতৃত্ব দেন অ্যালেক্স ক্যারি। এতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের পুজি পায়।
ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ক্রিস ওকস। ৪৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া স্টোকস, আর্চার, মইন আলী মার্ক উড প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন।