ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পঞ্চম পেসার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় দলে জায়গা করে নিলেও এখন পর্যন্ত ওয়ানডে দলে খেলা হয় নি রাহির। তাসকিনের চোটের কারণে কপাল খুলে যাওয়া এই পেসারের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার কারণ ব্যাখা করেছেন নির্বাচকগণ।
মাত্র ৫টি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা রাহির বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেয়াটা অনেকটা বিস্ময়কর। মূলত ব্যাটিং বান্ধব উইকেট হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকার কারণে বিশ্বকাপে রাহির জায়গা পাওয়াটা সহজ হয়েছে।
তাসকিনের ইনজুরিতে আলোচনায় এসেছিলেন শফিউল। কিন্তু চমক ছাপিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নিলেন রাহি। প্রধান নির্বাচকের কথায় জানা গেছে ইংল্যান্ডের কন্ডিশন ও স্বয়ং বলের কথা মাথায় রেখে রাহিকে দলে রাখা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচক বলেছেন, “সিলেকশন প্যানেলের আলোচনায় শফিউলকে অভিজ্ঞ বলে এগিয়ে রেখেছিলাম। সুইং বোলারের চিন্তা করে রাহীর কথা মাথায় এসেছে। রাহী নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে টেস্ট খেলেছিল। ওর বোলিংয়ে সুইং আছে, আমরা এটা চাচ্ছিলাম। যেহেতু ইংলিশ কন্ডিশনে খেলা, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। জুন মাসে ঠাণ্ডা বেশি থাকে, তাপমাত্রা কম থাকে। ফাস্ট বোলার অতিরিক্ত একজন সাথে রাখলে আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। এই চিন্তা করেই রাহীকে রাখা হয়েছে।”
অন্যদের মধ্যে দলে থাকা নিয়ে যে দুই ক্রিকেটারের ব্যাপারে সংশয় ছিল তারা হলেন চোট পাওয়া পেসার তাসকিন আহমেদ ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন স্কোয়াডে ডাক পেলেও ডাক পাননি তাসকিন আহমেদ। তবে পেসার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী।
বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সহ পেস আক্রমণে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান এবং রুবেল হোসেনে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ থাকছেন স্পিনার হিসেবে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি।