২০০ রানের আগে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন জয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছিল তখন সাব্বিরের সঙ্গে ৬৬ রানে জুটিতে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সাইফ। একে একে সবাই ফিরে গেলেও হাল ছাড়েননি সাইফউদ্দিন। ১, ২, ৩ করে নয়টি বাউন্ডরি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।
তার অর্ধশতকে জয়ের খুব কাছে চলে যায় বাংলাদেশ। কিন্ত ৪৮তম ওভারের শেষ দুই বলে বুমরার দুই ইয়কারে রুবেল ও মুস্তাফিজ ফিরে গেলে অপরাজিত ৫১ রান নিয়ে ক্রিজের অপরপ্রান্তে এক রাশ হতাশা নিয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সাইফকে।
সাইফউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল বড় দলের বিপক্ষে খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন তিনি। সেই সমালোচনার মোক্ষম জবাব দেওয়ায় সুযোগ পেয়েও অন্যদের ব্যর্খতায় সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেননা সাইফ। তবে দল না জিতলেও এদিন নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার এজবাস্টনের মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে মুখেও কিছুটা দিলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাকে নিয়ে একটা নেতিবাচক খবর হয়েছিল যে বড় দলের বিপক্ষে ভয়ে খেলি না! চোটের অজুহাত দেখাই। আমার মধ্যে জিদ কাজ করেছে যে বড় দলের সঙ্গে ম্যাচ জিতিয়ে হিরো হব। আজ যখন মাঠে নামলাম লক্ষ্য ছিল প্রথম বল থেকে শেষ বল—আমি লড়ব, ম্যাচ জেতাব। আমার নামে যেসব কথা হয়েছে, সেটা যেন ভুল প্রমাণ করতে পারি।’