দিন ভালো যাচ্ছেনা বিরাট কোহলির। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই ধোনির চেন্নাইয়ের কাছে হার। আর এবার তো নিজেদের ঘরের মাঠেই তারা হেরে বসলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। টানা দুই হার দিয়ে আইপিএল মিশন শুরু করা কোহলির ব্যাঙ্গালুরু নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। তবে কোহলির ভাগ্যই হয়তো ঠিক নাই। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিলো তার দল। তবে আম্পায়ারের ভুলে তেমনটা আর হলো কই!
মুম্বাইয়ের দেয়া ১৮৮ রানের হাই স্কোরিং টার্গেট পূরণে ভালোই লড়াই করছিলেন কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সরা। তাদের ব্যাটে জয়ের কক্ষপথেই ছিল ব্যাঙ্গালুরু। শেষ বলে ব্যাঙ্গালুরুর দরকার ছিল ৭ রান। তবে ছক্কা হলে সুপার ওভারে গড়াতে পারতো ম্যাচটি। তবে শিভাম দুবে কোন রান নিতে পারেননি মালিঙ্গার করা শেষ বল থেকে। স্বভাবতই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ জয়ের আনন্দে মশগুল হয়। পরবর্তীতে টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে পরিষ্কার নো বল ছিল মালিঙ্গার করা শেষ বলটি। কিন্তু আম্পায়ারদের চোখ এড়িয়ে যায় তা।
এমন ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সহ বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। এমনকি সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাও। ম্যাচ শেষে নিজেদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন তারা।
ম্যাচ শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমরা ক্লাব ক্রিকেট খেলছি না এখানে, আমরা আইপিএলের মত লেভেলের ক্রিকেট খেলছি। ওটা ছিলো হাস্যকর এক সিদ্ধান্ত। এটা ছিলো শেষ বল, আম্পায়ারদের চোখ খোলা রাখা উচিত ছিল। ওটা নো বল ছিল। আমি জানি না কি হচ্ছে। তাঁদের আরো তীক্ষ্ণ ও মনযোগী হওয়া উচিত।’
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ম্যাচে জয় পেলেও নো বল না দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা সীমানার দড়ি পার করে যাবার পর কেউ একজন আমাকে বলেছিল ওটা নো বল ছিল। ক্রিকেটে এই ধরনের ভুল ভালো কিছু নয়। এর আগের ওভারে বুমরাহ এমন একটা বল করেছিল যা ওয়াইড নয়। এসব খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, শেষ বলের সময়ে স্ট্রাইক আম্পায়ার ছিলেন সুন্দরাম রবি। যিনি কিনা আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলের একমাত্র ভারতীয় প্রতিনিধি। তার কাছে এমন ভুল কেউ আশা করেনা এবং মেনে নিতেও পারছেনা।