অতীতে বিপিএল দিয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলেছেন অনেকেই, তবে কালের গর্ভে অফ ফর্মে হারিয়ে গেছেন তারা। তবে এবারের বিপিএলে বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকা বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর চাওয়া নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে জাতীয় দলে লম্বা রেসের ঘোড়া হওয়ার।
যুব বিশ্বকাপটা খেলা হয়নি ইনজুরি থাবায়। তবে হতাশা ভুলে চলমান বিপিএলে বল হাতে নিজের জাত চিনিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে নিজের বিপিএল অভিষেকই গড়েছেন হ্যাটট্রিকের কীর্তি।
স্বাভাবিকভাবেই এবারে তার লক্ষ্য দেশের হয়ে মাঠ মাতানোর, তবে সেই পথে তিনি এগোতে চান ভিন্ন পন্থায়। ভালো বোলার হয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে আরো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এইজন্য ঘরোয়ালিগকে সামনে এগোনোর সিঁড়ি হিসেবে মানছেন এই তরুণ।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পর লক্ষ্য ছিল, পুরো টুর্নামেন্টে প্রমাণ করব আমি ভালো বোলার। কারণ আমি সবসময় বিশ্বাস করি, একটা ম্যাচ যে কেউ ভালো খেলতেই পারে। ইতিহাসে অনেক খেলোয়াড় এসেছে যারা এক ম্যাচ ভালো খেলার পর হারিয়ে গেছে। আমার লক্ষ্য ছিল পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে যেন ভালো খেলতে পারি। চেষ্টা করেছি, যতটুকু হয়েছে মোটামুটি ভালো। এখন পরের লক্ষ্য পরের টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো খেলা।’
যোগ করেন, ‘সিনিয়র ভাইরা বলছিলেন, যারা তরুণ আছে তাদের আরও সময় দেওয়া উচিৎ। আমিও মনে করি, আমি ৪-৫টা টুর্নামেন্ট ভালো করি, নিয়মিত ভালো করি, তখন প্রমাণ হবে আমি ভালো। হয়ত আমার এই মৌসুম ভালো যেতে পারে। কিন্তু আমি ভালো খেলোয়াড় এটা প্রমাণের জন্য আমাকে প্রত্যেক সিরিজ ও টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে হবে। এটাই আমার লক্ষ্য।’
আরো জুড়েছেন, ‘জাতীয় দলে কখনও খেললে এমন খেলোয়াড় যেন না হই যে ১-২ সিরিজ পর হারিয়ে যাব। আমার লক্ষ্য থাকবে প্রতিনিয়ত শেখা এবং দলে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ের কোনো না কোনো দিক থেকে অবদান রাখা। দলের গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকায় থেকে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জাতীয় দলের লক্ষ্য থাকে, থাকা উচিৎও। তবে এটা নির্বাচকদের ওপর। যখনই নিক, এই সিরিজ বা ২ বছর পর, তখনই আমার লক্ষ্য থাকবে আমি সেই সময় থেকেই শতভাগ দিয়ে খেলব।’
বিডি স্পোর্টস নিউজ/বিপ্রতীপ দাস