ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং নেমে মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়োরের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে বড় সংগ্রহ পেলো বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছে তারা। যা জিম্বাবুযের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্ধোধনী জুটিতে লিটন ও শান্ত ব্যাট উত্তাপ ছড়ায়। ৫.৫ ওভারে এই জুটিতে ৪৯ রান আসার পর কাইল জার্ভিসের বলে ৮ বল থেকে একটি বাউন্ডারিতে ১১ রান করে আউট হন শান্ত।
এরপর ক্রিজে বেশি সময় স্থায়ী হয়নি অন্য ওপেনার লিটন। পাওয়ার প্লের এক বল বাকি থাকেতে তাকে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান এমপফু। ব্যাটের কিনারায় বল লাগলে বাউন্ডারি থেকে দুদান্ত ক্যাচ নেন মাদজিভা। লিটন ২২ বল থেকে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায ৩৮ রান করেন। শুরুর ছয় ওভারে আসে ৫৫ রান।
দুই ওপেনারের বিদায়ে পর এখন ক্রিজে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব নেন সাকিব ও মুশফিক। তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে এই জুটিতে ১০ রানে ব্যাট করা সাকিবকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে তৃতীয ধাক্কা দিলেন জো বার্ল। এ সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৫ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মুশফিক ও মাহমুদল্লাহ। চতুর্থ উইকেট তারা দুজনে ব্যাট করে ৪৯ বল থেকে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। দরীয় ১৪৩ রানে মুশফিককে বিদায় করেন মুতুমবামি। ২৬ বল থেকে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায মুশফিকের সংগ্রহ ৩২।
মুশফিক ফিরে যাওয়ার পরে ৩৭ বল থেকে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদু্ল্লাহ। ইনিংসের শেষ ওভারে তাকে থামান জার্ভিস। তিনি ৫টি ছক্কাও ১টি বাউন্ডারি থেকে ৪১ বল থেকে ৬২ রান করেন।
এছাড়া আফিফ ৭, মোসাদ্দেক ২ রানে আউট হন। সাইফ ২ বল থেকে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে জার্ভিস ৩টি ও এমপফু ২টি করে উইকেট নেন। বার্ল ও মুতুবামি নেন ১টি করে উইকেট।