টন্টনে উইন্ডিজকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখলো বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩২২ রান তাড়া করে ৮.৩ ওভার ও সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশে হয়ে এই ম্যাচে ১২৪ রানের অরপাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ক্যারিবিয়ানদের দেওয়া বড় রান তাড়া করতে নেমে তামিম ও সৌম্য অর্ধশতরানের জুটি গড়েন। তবে এরপরই সৌম্যকে সহজ ক্যাচে পরিণত করে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান রাসেল। প্যাভিলনে ফেরার আগে তিনি জোড়া চার ও ছক্কায় ২৩ বল থেকে ২৯ রান করেন।
সৌম্যর বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও সাকিব দ্রুত ৬৯ রানের জুটি গড়েন। এরপরই ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হন ৪৮ রানে ব্যাট করা তামিম ইকবাল।
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি তামিমের ব্যাটে আঘাত করলে তা সরাসরি কটরেলের হাতবন্ধী হয়। এ সময় ক্রিজের বাইরে ছিলেন তামিম। তখন কটরেল বল সরাসরি স্ট্যাম্পে থ্রো করলে রান আউট হন তামিম। ৫৩ বল থেকে ৬টি বাউন্ডারিতে ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়ে ৪৮ রান নিয়ে প্যাভিলনের পথে ফেরেন তামিম।
এরপর ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা মুশফিক। পাঁচ বল থেকে ব্যক্তিগত ১ রান নিয়ে থমাসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
তবে চতুর্থে উইকেটে সাকিব ও লিটন জুটিতে ফের ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তারা দুজনে গড়ে তোলেন শতাধিক রানের জুটি। শুধু সেখানেই থেমে থাকনেনি তারা। সাকিব চলতি বিশ্বকাপে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিটি আসে ৮৩ বল থেকে।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তার হাফ সেঞ্চুরিটি আসে ৪৩ বল থেকে। শেষ পর্যন্ত তাদের দুজনের ১৮৯ রানের অরপাজিত জুটিতে সহজ জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ দল। ৪১.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য পেরিয়ে যায় তারা।
এ সময় সাকিব ৯৯ বল থেকে ১৬টি বাউন্ডারিতে ১২৪ রান করেন। অন্যপ্রান্তে ৬৯ বলে ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন লিটন দাস। দুজনেই অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া জয়ের স্বাক্ষী হন।
ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে রাসেল ও থমাস ১টি করে উইকেট নেন।