বুধবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেসে খেলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আইরিশদের দেওয়া ২৯৩ রানের লক্ষ্যটা ৬ উইকেট ও ৪২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় তারা। তবে এমন জয়ের পরও টাইগার শিবিরে কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যে ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছেড়েছেন।
ইনিংসের ৩৫তম ওভার দেখা যাচ্ছিল এক পাশে হাত দিয়ে ডলছিলেন সাকিব। তখন মাঠে নেমে আসেন ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহন। বেশ কয়েক মিনিট তিনি চেষ্টা করেন ব্যাথা কমানোর। এরপর সাকিব সিদ্ধান্ত নেন ব্যাটিং চালিয়ে নেয়ার।
৩৬তম ওভারে এসে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। জসুয়া লিটলকে পুল করে বাউন্ডারি মারার পর বুঝতে পারেন, তার পক্ষে আর ব্যাট করা সম্ভব নয়। এরপরই ৩৬ ওভার শেষে ৫১ বলে ৫০ রান করা অলরাউন্ডার রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তার ফেরার ভঙ্গীতেও গুরুতর কোনো চোটের আভাস ছিল না। তবু উদ্বেগ তো বাড়েই। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন বলেছেন, ‘এখনই চোট নিয়ে তো ফিজিও কিছু বলবে না।
আগে ভালো করে দেখে আগামীকাল (আজ) জানানো হবে।’ কিন্তু অনানুষ্ঠানিকভাবেও কি কিছু বলার উপায় নেই? বাংলাদেশি সাংবাদিকের আকুতি থেকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাইসহায় হয়ে এলেন। সিঁড়ি বেয়ে সাজঘরে ঢোকার আগমুহূর্তে বলে গেলেন, ‘টেনশনের কিছু নাই।’
এদিকে শনিবার ১৮মে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচ নিয়েই এখন পরিকল্পনা সাজাচ্ছে টাইগার শিবির। সেই ম্যাচে তাদের বড় অস্ত্রই সাকিব আল হাসান।