আজ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩১১ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়াদের বিশাল টার্গেট ছুড়ে দেয় ইংলিশরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.৫ ওভারে ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর্চার, স্টোকস আর প্লাঙ্কেট তোপে ঠিকমতো দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার দুই একজন বাদে অন্য কেউ।
প্রোটিয়াদের মধ্যে ডি কক ও ডুসান যা একটু রান করেছেন বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। প্লাঙ্কেটের বলে রুটের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ডি কক ৭৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আর্চারের বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে নিজের ৬ রানের মাথায় মাঠ ছাড়েন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। তবে দলের করুন অবস্থায় আবার মাঠে নামলেও তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি। ২৩ বল খেলে ১৩ রান করে প্লাঙ্কেটের বলে বাটলারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে রওনা হতে হয় তাকে। ৬১ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫০ রান করা ডুসান আর্চারের বলে মইন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলে আর কেউই তেমন বলার মতো রান করতে পারেননি আফ্রিকার হয়ে।
ইংলিশদের হয়ে জোফরা আর্চার ৩ টি, স্টোকস ও প্লাঙ্কেট ২ টি করে এবং মঈন আলী ও আদিল রশিদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
অন্যদিকে, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান সংগ্রহ করে ইংলিশরা। শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি তাদের। রানের খাতা না খুলেই ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাহিরের শিকারে পরিণত হন জনি বেয়ারস্টো। এরপর জো রুট ও জেসন রয় দলের হাল ধরেন। তাদের ১০৬ রানের জুটিতে প্রাণ ফিরে পায় ইংল্যান্ড। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হলে আবার অশনি সংকেত দেখা দেয় ইংলিশ শিবিরে।
ফিকোয়াওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৫১ বলে ৭ চারে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা জেসন রয় ডু প্লেসিসের হাতে ধরা পড়েন ৫৪ রান করে। অন্যদিকে ৫৬ বলে ৫ চারে ৫১ রান করা জো রুট রাবাদার বলে ডুমিনিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাজঘরে।
এরপর অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ও স্টোকস দলের হাল ধরেন। তাহিরের বলে মার্করামের হাতে ধরা পড়ার আগে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৫৭ রান করেন মরগ্যান। অন্যদিকে ৪৫ বলে ৬ চারে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন স্টোকস। এরপরের তিনটি উইকেট দ্রুতই হারায় ইংল্যান্ড। এনগিদির বলে বোল্ড হয়ে ১৮ রান করে ফিরেন বাটলার। এরপর এনগিদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মঈন আলী। তিনি ৩ রান করে প্লেসিসের দুর্দান্ত ক্যাচে সাঝঘরে ফিরেন। আর ১৩ রান করে ডু প্লেসিসের হাতে ধরা পড়ে রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হন ওকস।
এরপর এনগিদির তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ৮৯ রান করা স্টোকস। শেষ অবধি প্ল্যাঙ্কেট ৯ ও আর্চার ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আফ্রিকার হয়ে এনগিদি ৩টি, রাবাদা ও তাহির ২টি করে এবং ফিকোয়াওয়ে একটি উইকেট লাভ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ও বোলিংয়ে অসাধারণ অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সের কারণে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।