বৃষ্টি বিঘ্নিত সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকটে ২৩৯ রান তুলেছে। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিংয়ে ধসের মুখে পড়েছে ভারত।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে হেনরি ও বোল্টের বোলিং তোপের সামনে পড়ে ভারত। শুরুর চার ওভারে ভারত হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুলের উইকেট।
স্কোর বোর্ডে ৫ রান জমা করতেই ফিরে যান তারা। এই তিন ব্যাটসম্যানের কেউই ১ রানের বেশি করতে পারেননি। দুই ওপেনার রাহুল ও রোহিত হেনরির বলে উইকেটের পেছনে বল জমা করে প্যাভিলনে ফেরত যান।
অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেযে বড় তারকা বিরাট কোহলিকে এল বি ডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন বোল্ট। কোহলি রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি।
চতুর্থ উইকেটে এখন ভারতকে ধংসস্তূপ থেকে টেনে তোলার চেষ্টায় ক্রিজে ব্যাট করছিলেন অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিক ও ঋষভ প্যান্ট। তবে ১৯ রানের মাথায় কার্তিককে ব্যক্তিগত ৬ রানে পরাস্থ করে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন হেনরী।
রানের চাকা সচল রাখতে পঞ্চম উইকেটে প্যান্টকে সঙ্গ দিতে ধোনির উপরে ব্যাট করতে আসেন পান্ডে। এই জুটির শুরুতেই ১৯ রানের সময় জিমি নিমাশের কাছে ব্যক্তিগত ১৯ রানে জীবন দান পান প্যান্ট। তবে সেই জীবন পেয়েও নিজের ইনিংসকে বেশি দূরে এগিয়ে নিতে পারেননি তিনি। ২৩তম ওভারে সান্টনারের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন। ৫৬ বল থেকে ৪টি বাউন্ডারিতে ৩২ রান আসে প্যান্টের ব্যাট থেকে।
প্যান্টের বিদায়ে পান্ডের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ ধোনি। তবে এই জুটিতেও ভারত ২১ রানের বেশি তুলতে পারেনি। দলীয় ৯২ রানে হার্দিক পান্ডেকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সান্টনার। পান্ডে ফিরে যাওয়ার আগে ৬২ বল থেকে ৩২ রান করেন।
তবে এরপরই ধোনি-জাদেজা জুটিতে ঘুড়ে দাঁড়ায় ভারত। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা অপরাজিত ৭৬ রানের জুটি গড়েছেন। যেখানে ৩৯ বল থেকে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাদেজা। অন্যপ্রান্তে ৫২ বল থেকে ২৯ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ধোনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩.৩ ওভার শেষে ভারতের দলীয় সংগ্রহ ১৭৩/৬। ফাইনালে যেতে শেষ ৪৮ বল থেকে ভারতের ৭২ রান প্রয়োজন। ধোনি ২৯ ও জাদেজা ৫৬ রান নিয়ে মাঠে আছেন।