মিরপুরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে সুনিল নারিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচে ৪৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফাইনালে কুমিল্লা।
শুক্রবার ফাইনালে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশালের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ মাত্র ১৩ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েন নারিন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাত্র ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালান নারিন। প্রথম ওভারে শরিফুলের করা শেষ ৩ বলে দুই ৪ আর ১ ছক্কায় ২০ রান আদায় করে নেন নারিন। অন্যদিকে ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস।
দ্বিতীয় ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের করা ওভারে ৩ ছক্কা আর ১ চারে ২৩ রান আদায় করে নেন নারিন। ২ ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩ রান। নারিনের সংগ্রহ ৯ বলে ৩৬ রান।
৩য় ও ৪র্থ ওভারে স্ট্রাইক পাননি নারিন। এই দুই ওভার খেলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দুই ওভারে তিনি ১৫ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করেন।
আফিফ হোসেনের করা ৫ম ওভারের প্রথম ৩ বলে ৪, ছক্কা আর সিঙ্গেল নিয়ে ১২ বলে ৪৭ রানে পৌঁছে যান নারিন। ৬ষ্ঠ ওভারে পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ১৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন নারিন।
ফিফটির পরের বলে ডট দেন নারিন। ঠিক পরের বলে হাঁকান ৪। চতুর্থ বলে আউট হন নারিন। তার আগে ১৬ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৭ রান করে ফেরেন নারিন। তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন তখন ৫.৪ ওভারে কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭৯ রান।
এরপর ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলীর ব্যাটে ভর করে অনায়াসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ২৪ বলে ২২ রান করে ফেরেন ইমরুল কায়েস। মাত্র ১৩ বল মোকাবেলা করে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলী। ২৩ বলে ৩০ রান করেন ফাফ ডু প্লেসি।
কুমিল্লার হয়ে শহিদুল ইসলাম ও মঈন নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার রনি, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভির ইসলাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে এই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন নারিন।
এক নজরে দেখে নিন দুই দলের সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চট্টগ্রাম: ১৯.১ ওভারে ১৪৮/১০ রান (মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, জাকির ২০, মৃত্যুঞ্জয় ১৫; মঈন আলী ৩/২০, শহিদুল ৩/৩৩, মোস্তাফিজ ১/১৩)।
কুমিল্লা: ১২.৫ ওভারে ১৪৯/৩ রান ( সুনিল নারিন ৫৭, মঈন আলী ৩০, ডু প্লেসি ৩০, ইমরুল কায়েস ২২)।