কি নেই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ঝুলিতে? ধোনির অধিনায়কত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, বিশ্বকাপ সব শিরোপাই জিতেছে ভারত। ধোনি রান তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে আউট হননি এমন ইনিংসের সংখ্যা ৫১ টি, যার মধ্যে ৪৭ টিতেই জিতেছে ভারত। তাইতো তাকে বলা হয় বিশ্বের সেরা ফিনিশার।
কিন্তু এত অর্জনের পরেও তার অবসর প্রসঙ্গে চলছে নানা সমালোচনা। কেননা বয়স আর ফর্ম শেষের দিকে আসলে অবসর নিতে হয় সব মহানায়কদের। আর এবারের বিশ্বকাপ মোটেও ভালো যায়নি মাহেন্দ্র সিং ধোনির। তাই তো ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে নতুনদের জায়গা দিতে চায় বিসিসিআই। সামনে ঘরের মাঠে উইন্ডিজ সিরিজেও খুব একটা বিবেচনায় রাখা হচ্ছেনা ধোনিকে। শুধু তাই নয় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনিকে কোনো পরিকল্পনায় রাখছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
একসময়ের বিশ্বসেরা ধোনি যেন হয়েছেন এখন দলের বোঝা। বিশ্বকাপ থেকেই ধোনির অবসর চাচ্ছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। তার পরেও ধোনি অবসর না নেওয়ায় তাকে নিয়ে চিন্তিত স্বয়ং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইও। তাই তো সম্মানের সাথে ধোনিকে অবসর নেওয়ার আহবান জানিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
যখন কোনো দল দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে তখন দলে সুজোগ পায় নতুনরা। আর সেরকম পরিকল্পনা করতেন স্বয়ং ধোনিও। তাই নতুনদের সুজোগ করে দিয়ে ধোনির সরে দাঁড়ানো নিয়ে ধোনির পরিকল্পনার কথায় মনে করিয়ে দিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
“আমাদের এখনি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা উচিত। যখন ধোনি অধিনায়ক ছিল তখন সে নিজেও তরুণদের উপর আস্থা রাখত বেশি। আমার এখনো মনে আছে অস্ট্রেলিয়ায় এক সিরিজ চলাকালীন সময়ে ধোনি আমাকে কি বলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার মাঠ বড় হওয়ায় বলেছিল শেবাগ ও টেন্ডুলকার দুইজনকে একসাথে একাদশে খেলানো সম্ভব না। তার লক্ষ্যে ছিল বিশ্বকাপে তরুণদের সুজোগ করে দেওয়া। আমার মনে হয় আবেগ বাদ দিয়ে বাস্তবতা চিন্তা করা উচিত এবং তরুনদের সুজোগ দেওয়ার এখুনি উপযুক্ত সময়। রিশাভ প্যান্ট, ঈশান কিষান, সানজুদের মধ্যে যারই সামর্থ্য রয়েছে বেশি তাকেই উইকেটকিপার হিসেবে সুজোগ দেওয়া উচিত।”
ধোনির অবসরের ব্যাপারটি এখন প্রায় চূড়ান্ত। এখন শুধু অপেক্ষা ধোনির স্বইচ্ছাই অবসরের ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত। আর বিসিসিআই ও চাইছে ধোনির দ্রুত অবসর।