গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল কয়েকদিনের জন্য। যে প্যানেলে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
তবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ হন নান্নু। দলের ক্রিকেটার নির্বাচন নিয়েও ওঠে নানা প্রশ্ন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ায় আপাতত জাতীয় দলের কোনো কার্যক্রম নেই। চলমান বিসিএলের পর মাঠে গড়াবে বিপিএল। এরপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে আফগানিস্তান। সেটিও আগামী ফেব্রুয়ারির একদম শেষ ভাগে।
আফগানদের বিপক্ষে সেই সিরিজের আগে নির্বাচক কমিটি নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করছেন বিসিবি নীতিনির্ধারকরা। বিসিবির একটি সূত্র বলছে, প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব হারাচ্ছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। কারণ বেশ কয়েক মাস ধরেই সমালোচনার পাত্র হয়ে গেছেন নান্নু। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমেও লেখালেখি চলছেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলও হচ্ছে প্রচুর। যাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও খানিকটা বিব্রত। নান্নুর সঙ্গে চুক্তি নতুন করে নবায়ন করলে তার ধাক্কাটা বোর্ডের ঘাড়ে আসতে পারে, এমন শঙ্কাতো আছেই। আর সেকারণেই নান্নুকে এই দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিসিবি।
এদিকে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির নতুন প্রধান জালাল ইউনুসও স্বীকার করেছেন, নির্বাচক কমিটি নিয়ে ভাবছেন তারাও এবং বেশ জোরেসোরেই এ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জালাল বলেন, নির্বাচক কমিটি নিয়ে না ভেবে উপায়ও নেই। কারণ মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি শেষ হয়েছে। কাজেই আমাদের একটা কিছু করতে হবে।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া নান্নু আর বাশারের সঙ্গে কী নতুন করে আবার চুক্তি করবে বিসিবি? নাকি দুজনকে একসঙ্গে বাদ দিয়ে দুজন নতুন নির্বাচককে দায়িত্ব দেয়া হবে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি জবাবে জালাল বলেন, এটা আমাদেরও মাথায় আছে। তবে চেঞ্জ বলবো কি বলবো না জানি না। নির্বাচকদের নিয়ে তো কিছু একটা করতে হবে। কন্ট্রাক্ট শেষ হয়েছে যখন, তখন তো কিছু একটা করতেই হবে। নতুন কন্ট্রাক্ট দেবো নাকি চেঞ্জ করে দিতে হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।