ভারতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ২৮ রানের ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। ভারতের করা ৩১৪ রানের জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। এই হারে সেমি ফাইনালে উঠার দৌড় থেকে ছিটকে গেলো বাংলাদেশ। অন্যদিকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিলো কোহলির ভারত।
বড় রান তাড়া করতে তামিম ও সৌম্য সরকারের উদ্ধোধনী জুটিতে বড় রান আশা করেছিল সমর্থকরা। কিন্তু, দলীয় ৩৯ রানে শামির বলে বোল্ড আউট হন তামিম। ৩১ বল থেকে ৩টি বাউন্ডারিতে ২২ রান করে তিনি।
তামিমের মতো ক্রিজে সেট হয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন সৌম্য সরকার। সাকিবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকটে ৩৫ রান যোগ পান্ডিয়ার বলে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ক্যাচ আউট হন। সৌম্যর বিদায়ের পর বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছিল সাকিব ও মুশফিকের জুটি। তবে দলীয় ১২১ রানের সময় মুশফিকের উইকেট তুলে নেন চাহাল। ২৩ বল থেকে ২৪ রান করা মুশফিকের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি ছিল।
এরপর লিটনের সাথে জুটি গড়ে আসরে নিজের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব। ৫৮ বল থেকে ৫টি বাউন্ডারিতে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। দলীয় স্কোর ১৭৯ রানে বিদায় নেন সাকিব ৭৪ বল থেকে ৬টি বাউন্ডারিতে ৬৬ রানে সাকিবকে প্যাভিলনের পথ দেথান পান্ডে। সাকিবের বিদায়ের আগে লিটন ২২ ও মোসাদ্দেক ৩ রানে প্যাভিলনে ফিরে যান।
সাকিব বিদায় নিলেও বাংলাদেশকে ম্বপ্ন দেখাচ্ছিল সাব্বির ও সাইফুদ্দীন জুটিতে। এই জুটিতে ৬৬ রান তোলেন তারা। দলীয় সংগ্রহ যখন ২৪৫ তখন এই জুটির সাব্বিরকে ৩৬ রানে বিদায় করে ভারতকে খেলায় ফিরিয়ে আনে বুমরা।
এরপর বাংলাদেশের হয়ে একক লড়াই করেন সাইফুদ্দীন। ৩৭ বল থেকে ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে ৪৯তম ওভারে বুমরার করা ওভারের শেষ দুই বলে রুবেল ও মুস্তাফিজের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে দড়ি টেনে দেন সেই বুমরা।
২ ওভার বাকি থাকতে এতে ৩৮ বল থেকে ৫১ রানে অপরাজিত থাকলেও অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৮৬ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেলো।
ভারতের হয়ে বুমরা ৫৫ রান নিয়ে একা নেন ৪টি উইকেট। পান্ডিয়া ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর, শামী ও চাহল।