পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ কোনো রাখঢাক ছাড়াই স্পষ্টভাষায় বলে দিলেন, এ বার আইসিসি বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে পাকিস্তান ।
বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ ১৬ জুন। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিতব্য সে ম্যাচের টিকিট ইতোমধ্যেই সব বিক্রি হয়ে গেছে।
সরফরাজ বলেন, অধিনায়ক হিসেবে সব ম্যাচই আমার কাছে সমান। শুধু ভারত কেন, সব দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতাই আমাদের লক্ষ্য। তবে ভারতের বিরুদ্ধে জিততে চায় আমাদের সবাই। আমরা সব ম্যাচই ভারতের বিরুদ্ধে খেলছি ভেবে নামব।
পরিসংখ্যান অবশ্য সরফরাজের পক্ষে কথা বলছে না। কারণ সেই ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপে ছয় বার মুখোমুখি হয়ে একবারও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সে কথা মনে করিয়েও দেয়া হয় সরফরাজকে। জবাবে সরফরাজ বলেন, পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ছয় বার হেরেছি আমরা। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, ২০১৭ সালে এই ইংল্যান্ডেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তান ১৮০ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারতকে।
পাকিস্তান দলকে বিশ্বকাপে কোনো হিসাবেই ফেভারিট ধরা হচ্ছে না। কিন্তু তা নিয়ে অধিনায়ক সরফরাজরে কোন চিন্তা নেই। তবে তার মত চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে কিনা তরুণ ক্রিকেটাররা, এটাই দেখার বিষয়।
গতকাল সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেন, বিশ্বকাপে যখনই আমরা ফেভারিট হিসেবে খেলতে গিয়েছি তখনই আমাদের সমস্যা হয়েছে। কিন্তু যখন আমরা ফেভারিট থাকিনি, সেই বিশ্বকাপগুলোতে আমাদের সামলাতে সমস্যা হয়েছে বিপক্ষের।
ইতিমধ্যেই সাবেক বিশ্বজয়ী পাকিস্তান অধিনায়ক ও বতর্মানে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে সরফরাজকে বলেছেন, তুমি দেশের নেতা। গোটা দল তোমার দিকেই তাকিয়ে থাকবে। একজন নেতা যখন ভাল খেলে, তখন তার সতীর্থদের থেকেও সহজেই সেরাটা বেরিয়ে আসে।
বিশ্বকাপে এ বার পাকিস্তান দলের থিম, ‘আমরা জিতেছি, আমরা জিতব।’ পাকিস্তান দলের কোচ মিকি আর্থার আশাবাদী বিশ্বকাপে ভালো ফল করার জন্য। তার মতে, পাকিস্তান ক্রিকেটের পক্ষে এটা দুর্দান্ত সময়। প্রতিভা ও মানসিকতার দিক দিয়ে এ পাকিস্তান দল বিশ্বের যে কোনো দলকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে। তা ছাড়া বিশ্বকাপে ভাল ফল করার জন্য কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আশা করছি, দল ভাল করবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য প্রথম চারে থেকে লিগ পর্ব শেষ করা। তার পরে ধাপে ধাপে এগোতে হবে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে। কিন্তু এ সব পরিকল্পনা সফল হতে গেলে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই ভাল খেলতে হবে আমাদের।
বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। তার আগে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান দল। বিশ্বকাপে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ খেলবে ৩১ মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।