বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়েছে। প্রথম দিন শেষে ভারত নিজেদের প্রথম ইনিংসে এক উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান করেছে।
আউট হয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি আউট হয়েছেন ১ রান করে। সেই সাথে অপরাজিত আছেন আগারওয়াল ও পূজারা। আগারওয়াল ৩৭ ও পূজারা ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন।
ভারতের একমাত্র উইকেটটি শিকার করেছেন আবু জায়েদ রাহী।
এর আগে ভারতের বোলারদের বিপক্ষে কোন উত্তরই দিত পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে ভারতের পেসারদের তোপাটাই সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই না পারার কারণে মাত্র ১৫০ রানেই অল আউট হয় অতিথিরা।
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল। ব্যাটিংয়ে নেমেই ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ দল। ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের মারাত্মক বোলিংয়ের সামনে বেশ কয়েকবার পরাস্ত হয়েছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন বুঝতেই পারছিলেন না বল কোন দিক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত উমেশের এমনই একটি মারাত্মক বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। দলীয় ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে ৬ রান করে বিদায় নেন ইমরুল। পরের ওভারেই আবার আঘাত হানেন ইশান্ত শর্মা। ৬ রান করা সাদমানকে ফেরত পাঠান ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ বানিয়ে। তার আউটসুইংয়ে পরাস্ত হন সাদমান।
এরপর আরেক ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামি বাংলাদেশ শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন। দুর্দান্ত এক বলে মিঠুনকে এলবি করে ফেরত পাঠান এই পেসার। আউট হওয়ার আগে ১২ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন।
মিঠুনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন মুশফিক। যোগ দেন আরেক তারকা মুমিনুল হকের সঙ্গে। দুজনে মিলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরেও দারুণ ভাবে এগিয়ে যেতে থাকে এই দুই তারকা। দুজনের এই জুটিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে বাংলাদেশ।
মিঠুনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন মুশফিক। যোগ দেন আরেক তারকা মুমিনুল হকের সঙ্গে। দুজনে মিলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরেও দারুণ ভাবে এগিয়ে যেতে থাকে এই দুই তারকা। দুজনের এই জুটিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে বাংলাদেশ।
কিন্তু এরপরই হঠাৎ ছন্দপতন। অশ্বিনের একটি বল দেখে শুনে ছেড়ে দেন মুমিনুল। কিন্তু ছেড়ে দেয়া সেই বলটিই স্ট্যাম্প ভেঙে দেয় অধিনায়কের। আর তাতেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ। মুমিনুল আউট হন ৩৭ রান করে।
মুমিনুলের বিদায়ের পরই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। রিয়াদ মাঠে নেমেই স্ট্যাম্প ছেড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। এরপর মুশফিক ও লিটন দাস কিছুটা চেস্টা করেন। কিন্তু সেটাও শেষ হয়ে যায় সামির বোলিং তোপে।
সামি বোলিংয়ে এসে দলীয় ১৪০ রানের মাথায় তুলে নেন মুশফিকের উইকেট। দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন মুশফিককে। পরের বলেই মিরাজকে এলবি করে ফেরত পাঠান। যদিও রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতেন মিরাজ।
এরপর আর বেশি দূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। বাকিরা মিলে ১০ রান যোগ করতেই অল আউট হয় টাইগাররা। ভারতের হয়ে মোহাম্মদ সামি ৩টি এবং ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও রাভিচন্দ্রণ অশ্বিন দুটি করে উইকেট লাভ করেন।