আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ২য় ম্যাচ চলাকালে নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে মাঠে
ঢুকে পড়েন এক তরুণ দর্শক। তারপর শুধু নিরাপত্তাই নয়, জৈব সুরক্ষা বলয়ও ভাঙলেন রাসেল নামের সেই তরুণ।
মাঠে ঢুকে সেই দর্শক মোস্তাফিজের খুব কাছে চলে যান। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং পায়ে চুমু খান। মোস্তাফিজকেও তার মাথায় স্পর্শ করতে দেখা যায়। ওই ঘটনার পর মোস্তাফিজ এক বল করেন। এরপর তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
কোভিডকালিন খেলোয়াড়দের কাছাকাছি কেউ যেতে পারেন না। সেজন্য তাকে নিরাপদ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বিসিবি ম্যাচ শেষে জানায়, মোস্তাফিজের শরীরের এক পাশের অংশে হঠাৎ ব্যথা অনুভব করায় তাকে তুলে নেওয়া হয়।
তবে বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর ইঙ্গিত অনেকটাই দর্শক কাণ্ড। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটাকে আমরা ক্লোজ কন্টাক্ট বলছি না। কারণ, মোস্তাফিজ খুব বেশি ক্লোজ ছিল না। তবুও আমরা যথেষ্ট সতর্ক। মোস্তাফিজকে টেস্ট করানো হবে। আইসিসির প্রটোকল অফিসার আছেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজনে দুই টিমের সকল ক্রিকেটার ও মাঠে উপস্থিত ম্যাচ অফিশিয়ালদের টেস্ট করানো হবে।’
দর্শকের এমন কাণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ বিসিবির নিরাপত্তা এবং জৈব সুরক্ষা বলয়। এবারই প্রথম এমন কিছু হলো না। এর আগে ২০১৬ সালে মিরপুরের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড থেকে এক দর্শক লাফিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। গিয়ে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরেন। সিলেটে উদ্বোধনী টেস্টে দুবার দুই দর্শক মাঠের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙেন। চট্টগ্রামে সাকিবের জন্য এক দর্শক নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখান।
কেন বারবার এমন উদাসীনতা? কেন নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা? উত্তর, স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায় যারা নিয়োজিত; তারা দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে খেলা দেখায় ব্যস্ত থাকেন। এ ছাড়া এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেন, আড্ডা দেন। আবার প্রয়োজনের তুলনায় নিরাপত্তা কর্মীও পর্যাপ্ত নয়। সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে খেলা হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। এবার দীর্ঘদিন পর মাঠে দর্শক ফিরিয়েছে বিসিবি। স্টেডিয়ামের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দিয়ে বাকি অর্ধেক দর্শকদের জন্য নির্ধারিত। এজন্য গ্যালারির নিচতলা পুরোপুরি খালি।
আজ নর্দার্ন স্ট্যান্ড থেকে প্রথমে নিচে নামেন ওই তরুণ। পরবর্তীতে বিশাল বেষ্টনী টপকে ঢুকে পড়েন মাঠে। তাকে আটকাতে বেশ কয়েকজন গ্রাউন্ডসম্যান চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তরুণের ক্ষিপ্রতার কাছে হার মানতে হয় তাদের। মাঠে ঢুকে সোজা মোস্তাফিজের কাছাকাছি চলে যান সেই তরুণ। এরপর নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তা মাঠে ঢুকে তাকে বের করে আনেন।