বলিভিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোপারা আসর শুরু করেছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। তবে বুধবার ভোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ভেনেজুয়েলারে কাছে হোঁচট খেলো তারা। ম্যাচ গোলশূন্য ‘ড্র’ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
নেইমারহীন ম্যাচে ব্রাজিলের মোট তিনটি গোল বাতিল হয়। ফাউলের কারণে প্রথমার্ধে ফিরমিনহোর গোল বাতিল হওয়ার পর দুইবার অফসাইড থেকে তিনি আরও দুটি গোল নষ্ট করেন। ড্রয়ের পরও দুই ম্যাচে এক জয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে দলটি।
আগের ম্যাচে সাদা জার্সিতে মাঠে নামার পর এদিন ঐতিহ্যবাহী হলুদে ফিরে আসে ব্রাজিল। পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগও পেয়ে যায় তারা। তবে বক্সের মধ্যে বিপক্ষ এক ডিফেন্ডারকে টেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে ফিরমিনোর একটি গোল বাতিল করেন রেফারি।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভেনিজুয়েলার জালে বল রাখেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্য নিয়ে জেসুসের সেই গোল বাতিল করেন রেফারি। কারণ হিসেবে জানানো হয় জেসুসের উদ্দেশ্যে পাস বাড়ানোর সময় অফসাইডে ছিলেন আরেক ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো।
ম্যাচ শেষের ঠিক পাঁচ মিনিট আগে একইভাবে কৌতিনহোর আরেকটি ‘গোল’ বাতিল করেন রেফারি। ভিএআরে দেখা যায় এবারও অফসাইড ছিলেন ওই ফিরমিনহো!
৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলে ৬৯ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে তিতের শিষ্যরা। গোটা ম্যাচে গোলমুখে ১৯টি শট নিয়েও জাল খুঁজে পায়নি তারা! আক্রমণে পিছিয়ে থাকলেও শক্ত রক্ষণে শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলকে গোল না করতে দিয়েই ম্যাচ শেষ করতে পেরেছে ভেনিজুয়েলা।
গ্রুপ ‘এ’ থেকে দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে এ’ গ্রুপের শীর্ষেই রইল ন’বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের অপর দল পেরু একই মেরুতে অবস্থান করলেও গোল পার্থক্যে শীর্ষে রইল তিতের দল। এদিন গ্রুপের অপর ম্যাচে বলিভিয়াকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে পেরু। আগামী শনিবার গ্রুপ নির্ণায়ক ম্যাচে পেরুর মুখোমুখি হবে সেলেকাওরা।