বিশ্বকাপের জার্সি দিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। চলতি সপ্তাহে বিশ্বকাপের জার্সি টাইগার ভক্তদের আপত্তিতে পরদিনই পরিবর্তনে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে পরিবর্তিত সেই জার্সিতে দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয় বিসিবি। তবে এবার বিসিবির সিদ্ধান্ত বদলানোর পেছনে ভূমিকা ছিল দলের স্পন্সর ইউনিলিভারের।
বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি সবুজ জার্সি বানিয়ে প্রবল সমালোচনায় পড়েছিল বিসিবি। পরবর্তিতে সেই জার্সির হাতায় লাল রং জুড়ে সমালোচনা থামিয়েছিল বিসিবি। একই সাথে জার্সির বুকে বাংলাদেশ লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে লাল ও লেখার রঙ আগের মতই সাদা রাখা হয়। জার্সির এই ডিজাইনটি মনে ধরে টাইগার ভক্তদের
তবে এবার জার্সির ডিজাইন নিয়ে আপত্তি তোলে বাংলাদেশ দলের স্পন্সর ইউনিলিভার। কারণ আইসিসি টুর্নামেন্টে দলের প্রত্যেক দলের স্পন্সরের লোগো থাকবে বাহুতে। বাংলাদেশ দলের স্পন্সর ইউনিলিভারের পণ্য লাইফবয়ের লোগোর রঙও লাল, তাই বাহুতে লাল স্ট্রাইপ দিয়ে নতুন ডিজাইন করায় ইউনিলিভারের লোগো আড়ালে পড়ে যাচ্ছিল।
ফলে দ্বিতীয় দফায় জার্সির ডিজাইনে পরিবর্তন আনল বিসিবি। তবে খুব বেশি পরিবর্তন আনেনি বিসিবি। আগের জার্সির বাহুতে ব্যবহৃত লাল স্টাইপ সরিয়ে দিয়েছে তারা। তাছাড়া জার্সিতে নেই আর কোনো পরিবর্তন।
বিসিবি জানায়, শুরুতে জার্সির সামনের অংশে বাংলাদেশ লেখা, পেছনে খেলোয়াড়ের নাম ও নম্বরের রঙ রাখা হয়েছিল লাল। তবে আইসিসির ব্রডকাস্টিং নীতিমালার অনুরোধে লেখার রঙ বদলে করা হয় সাদা। সেকারণেই জার্সি থেকে পুরোপুরি বাদ পড়ে যায় লাল রঙ। সমালোচনার পর লাল রঙ ফিরিয়ে নতুন ডিজাইন করা হলে বাহুর লাল রঙ স্পন্সরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাওয়ায় সেটাও বদলাতে হলো বিসিবিকে।
সবুজ জার্সিতে তিন দফা বদল এলেও। বিকল্প জার্সি হিসেবে শুরু থেকেই চূড়ান্ত হওয়ায় লাল জার্সির ডিজাইন একই থাকছে। লাল জার্সিতে বুকের মধ্যে বাংলাদেশ লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে রাখা হয়েছে সবুজ রঙ। দুই বাহুতে আছে সবুজ স্ট্রাইপ। বাম বাহুতে সেই সবুজ স্ট্রাইপের উপরেই বসানো হয়েছে লাইফবয়ের লাল রঙের লোগো।