অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শাহজাতে প্রথম দুই ওয়নাডেতে ২৮০ প্লাস করেও শোচনীয় ভাবে হেরেছে পাকিস্তান। দুই ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া দলের জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল অ্যারোন ফিঞ্চের। প্রথম ওয়ানডেতে ১১৬ রানে আউট হলেও রবিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেন ১৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস।
ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফিঞ্চের এমন লড়াইয়ে দুই ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেছে অজিরা। পাকিস্তান দলের এমন পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানের মূল সারির কয়েক জন ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার প্রসঙ্গটি।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সাফরাজ খান, বাবর আজমসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যা ম্যাচ হারের প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। রবিবার ম্যাচ শেষে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটাদের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আফ্রিদী। সেই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশক দলকে ছোট করলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদী।
আফ্রিদির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ফখর জামান, সরফরাজ, বাবর আজম এদেরকে বিশ্বকাপের আগে রেস্ট দেওয়া হয়েছে আপনি কি তাতে মনে করেন সেটি ভালো কিছু হবে?
জবাবে আফ্রিদী বলেন, ‘দেখুন, সিরিজটা যদি বাংলাদেশ বা জিম্বাবুয়ের মতো র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ-সপ্তম বা অষ্টম দলের সঙ্গে হতো, তাহলে না হয় বোঝা যেত যে বিশ্বকাপের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার যৌক্তিকতা আছে। কিন্তু সিরিজটা অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী এক দলের সঙ্গে। বিশ্বকাপের আগে এমন শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেললে ওই সব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের কারণেই হয়তো আমরা বেশ কিছু ম্যাচ জিততাম, যেটা বিশ্বকাপের আগ দিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিত। আমার মনে হয় তারা দলের সঙ্গে থাকলেই ভালো হতো। এমন তো না যে তারা ১৫-২০ বছর ক্রিকেট খেলেছে, তারাও তো কয়েক দিন আগে থেকেই খেলা শুরু করেছে। তাই তাদের দলে রাখলেই বোধ হয় ভালো হতো।’
আফ্রিদীর এমন জবাবের ভিডিওটি এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ভাইরাল হয়েছে। যাতে বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চালনা দেখা গেছে। কারণ গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল পাকিস্তান। সেই আসরে সাত নস্বর অবস্থানে থেকে অনেক আগেই মূল আসর নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।
এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ আর পাকিস্তান ক্রিকেটের তিন সংস্করণে মুখোমুখি হয়েছে নয়বার। সেই নয় ম্যাচের মধ্যে ছয়বারই হেরে মুখ কালো করে মাঠ ছেড়েছেন পাকিস্তানিরা। নয় ম্যাচে দুই দল খেলেছে তিনটি টি-টোয়েন্টি, চারটি ওয়ানডে আর দুটি টেস্ট। দুটি টেস্টের একটি ড্র ও একটিতে জিতলেও ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না পাকিস্তান। তিন টি-টোয়েন্টির দুটিতেই হেরেছে, হেরেছে চারটি ওয়ানডের প্রত্যেকটিতে।