আইপিএলের মিশন শেষ করে যার যার দেশে ছুটে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। হাসিমুখে বিদায় পর্বগুলোতে ঘর ভাঙার বিষাদের সুর। মোস্তাফিজুর রহমান যখন আবুধাবির হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে ঘিরে জটলা। ‘বিদায় ফিজ।’ ‘ভালো থেকো।’ ‘যোগাযোগ রেখো।’ ‘তুই গিয়ে ফোন দিস।’… এরকম বিদায়সূচক কথায় হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন মোস্তাফিজ।
আইপিএলের সফল মিশন শেষে এখন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অপেক্ষায় এই ক্রিকেট তারকা। ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আইপিএল দারুণ কেটেছে মোস্তাফিজের। বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে তার বোলিংয়ে সেই পুরোনো ধার, চেনা ছন্দ। গতিতে বিষ ও বিভ্রান্তিকর স্লোয়ারে ব্যাটসম্যানরা তাকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন।
আইপিএল শুরু হয়েছিল ভারতে। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার পর সংযুক্ত আমিরাতে তা চলে আসে। সেখানেই প্রতিযোগিতার পর্দা নামবে। বাঁহাতি পেসার ২য় অর্ধে বল হাতে বাজিমাত করেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের ট্রামকার্ড হবেন এ পেসার। তার ৪ ওভার নিশ্চিতভাবেই প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে এবার রানের ফোয়ারা ছিল না। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসাররাও ছিলেন দারুণ। মোস্তাফিজ নিঃসন্দেহে ভালো করার তালিকায় থাকবেন। আইপিএল খেলে দুবাইয়ের কন্ডিশন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার। বলার অপেক্ষা রাখে না, মোস্তাফিজ হাসলে হাসবে বাংলাদেশ।