বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার মনে করেন সব বাধা ভেঙে দিয়ে আজ ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের শিরোপা জেতার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের।
পর পর ৪ বারের এশিয়া কাপে ৩ বারই ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। কিন্তু শিরোপা যেন সবসময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্বপ্নভঙ্গের যে জ্বালাটা বাংলাদেশিরা অনুভব করে এবার কি তা থেকে মুক্তি পাবে তারা! নক আউট ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত মানেই কেমন যেন অগোছালো হয়ে যায় বাংলাদেশ। অথচ ভারতকে যে বাংলাদেশ হারায়নি তা কিন্তু নয়। দুঃখের বিষয় হলো সাকিব তামিম ছাড়া বাংলাদেশ যতটা দুর্বল ভারত কিন্তু ততটাই সবল সাম্প্রতিক ফর্ম, রেকর্ড সবকিছু বিচার বিবেচনায়। আর বাংলাদেশ দলে ক্রমাগত চোট আর ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায় অনেক বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাবিবুল বাশার মনে করছেন সাকিব তামিম না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটা বাধা, ‘আমরা বেশ সমস্যায় আছি ফিটনেস নিয়ে। আমাদের নিয়মিত দুজন খেলোয়াড় নেই। টানা সূচির মধ্যে কোনো বিশ্রাম নেই। সবকিছুই আমাদের বিরুদ্ধে।’
আবার হাবিবুল মনে করেন এই প্রতিকূল ব্যাপারগুলোই বাংলাদেশের জন্য পজিটিভ, ‘আমি মনে করি এই বিষয়গুলোই আমাদের খেলোয়াড়দের বেশি অনুপ্রেরণা দেবে। আর এত নেতিবাচক বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশকে খুবই উজ্জীবিত লাগছে। শুধু চাইব দিনটা যেন ভালো যায়।’
হাবিবুলের তৃপ্তিকর কিছু স্মৃতি হলো তার অধিনায়কত্বে ভারতকে একাধিকবার হারানো। ভারতকে ২০০৪ সালে ঢাকায় আর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে হারানোয় ভারতকে হারানোর সিস্টেমটি ভালোই জানা আছে বাশারের। তাই হাবিবুলের সোজা-সাপটা পরামর্শ হলো, ‘ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা দুর্দান্ত ফর্মে আছে। বিশেষ করে রোহিত শর্মা আমাদের সঙ্গে একটু বেশিই ভালো খেলে। ম্যাচটা ধীরে ধীরে হাতের নাগালে বাইরে নিয়ে যায়। আমার মনে হয় আজকের খেলার মূল শর্ত দুজনকে বেশি রান করতে না দেওয়া। এই কাজটা যদি করতে পারি আমাদের সুযোগ আছে। ভারতের মিডল অর্ডারে বিরাট কোহলি নেই। শুধু ধোনিই আছে। আর এখন ধোনিও আগের মতো বিধ্বংসী নয়।’
আগের টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়াকাপের ফাইনালে ভারত বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি আর পাকিস্তানের কাছে ২ রানের হরে ২০১২ সালের ফাইনালটা বাংলাদেশের জন্য হয়ে আছে খুবই দুঃসহ স্মৃতি হয়ে। গত ফাইনালের তিনজন মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম ও মাশরাফি বিন মুর্তজা আছেন এই ফাইনালেও।
হাবিবুল বাশার মনে করেন এবার দৃশ্যটা বদলাবে, ‘বারবার একই জিনিস হয় না। বারবার একই জিনিস হওয়া উচিত নয়। এবারের বাংলাদেশ অনেক উজ্জীবিত।’
সূত্র: প্রথম আলো