10.3 C
New York
Saturday, April 20, 2024

Buy now

বাস পেছাতে বললেও তামিম-মুশফিকদের কথা শোনেননি ড্রাইভার

ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সময় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা মসজিদের খুব কাছাকাছিই ছিলেন। তারা জুম্মার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ঐ মসজিদের দিকেই যাচ্ছিলেন।

নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদের কাছে বাস পার্ক করে ক্রিকেটাররা মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় এক মহিলা সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে তাদের সতর্ক করলে তারা দ্রুত বাসে ফিরে আসেন। এই ভয়ংকর পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করে তারা চালককে অনুরোধ করেন বাস পেছনের দিকে নিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে যেতে। কিন্তু চালক সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেন ‘সেই নির্দেশনা নেই’। তাই তিনি বাস পেছাতে পারবেননা।

জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে এই কথাগুলো এক সাক্ষাৎকারে জানান মুমিনুল। মুমিনুল বলেন, ‘ঐ দুঃসময়ের মাঝামাঝি সময়ে আমরা ড্রাইভারকে বলি বাস পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু সে রাজি ছিল না এবং জানায়- এটি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারিতে মুশফিক ভাইয়ের সাথে বসে ছিলাম আমি। আমরা বাস থেকে দেখছিলাম- সবাই মসজিদ থেকে বের হয়ে আসছে এবং মেঝেতে শুয়ে পড়ছে। তাদের পুরো শরীর রক্তে ভরা। আগেরবার যখন ক্রাইস্টচার্চে আসি আমরা এই মসজিদের নামাজ পড়েছিলাম।’

বাস থেকেই সন্ত্রাসীর নৃশংসতা ও নির্মমতা দেখতে পাচ্ছিলেন মুমিনুলরা। তিনি বলেন, ‘৫-১০ মিনিট আমরা বাসের ভেতরেই বসা ছিলাম। এ সময় পাইলট ভাই কারও সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। তামিম ভাই পেছন থেকে আসে এবং আমরা ড্রাইভারকে জানালা খুলে দিতে বলি। আমরা দেখলাম অনেকগুলো দেহ এদিক-ওদিক পড়ে আছে।’

এই ভয়ংকর পরিস্থিতির কারণে ক্রিকেটাররা সিদ্ধান্ত নেন হেঁটে হেঁটেই হোটেলে ফেরার। মুমিনুলের কোথায় জানা যায়, ‘আমরা বাসের পেছনের দরজা খুলে পার্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।’

‘৫ মিনিট আগে এলেই আমরা মসজিদের ভেতরে থাকতাম এবং মসজিদের ভেতরে কেউই বেঁচে থাকতো না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ যে আমরা পাঁচ মিনিট পরে সেখানে পৌঁছেছিলাম।’ বলেন মুমিনুল।

ঘটনার ভয়াবহতায় কোনো কোনো ক্রিকেটার বাসের ভেতর কান্নাও করছিলেন। মুমিনুল জানান, ‘মসজিদে পৌঁছালে আমরা পেছনের সারিতে থাকতাম এবং হয়তো আমাদের কাউকেই বাঁচিয়ে রাখত না ওই সন্ত্রাসী। ভিডিও দেখলে দেখবেন, সে কারও দিকেই তাকাচ্ছিল না, নির্বিচারে গুলি করেছে। আমরা অনেক ভয় পেয়েছিলাম এবং বাসের ভেতর কান্না করছিলাম।’

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,913FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles