আর কিছুদিন পরেই ইংল্যান্ডের মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ। আর তাই বিশ্বকাপ খেলুড়ে দেশগুলোতে চলছে নানারকম প্রস্তুতি। বাংলাদেশের টাইগাররাও নিজেদেরকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কিছু খেলোয়াড়দের ইনজুরি নিয়ে চিন্তিত বিসিবি।
বাংলাদেশের অন্তত ছয়জন ক্রিকেটারকে নিয়ে দুঃচিন্তায় আছেন বিসিবি। এর মাঝে দুইজনই পঞ্চপান্ডবের সদস্য।
শুরু করা যাক পঞ্চপান্ডবের দুই তারকা মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে। মুশফিক গত নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ ওয়ানডেতে আঙুলে চোট পান। এই চোটটি সেরে উঠলেও সম্প্রতি পুরোনো পাঁজরের ব্যথা আবারো অনুভব করেন তিনি। চিকিৎসকরা বর্তমানে তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে মাহমুদউল্লাহ নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরে পিঠে ব্যথা অনুভব করেন। যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। মাহমুদউল্লাহ প্রতিদিনই ব্যাটিং প্রস্তুতি করছেন। এক সপ্তাহের পর জানা যাবে তাঁর চোটের পরিস্থিতি কেমন। তবে তিনি যেভাবে প্রস্তুতি করছেন, তাতে চিন্তার কিছু নেই বলেই মনে হচ্ছে।
আবার প্রিমিয়ার লীগে খেলার সময় চোট পান মেহেদি হাসান মিরাজ ও রুবেল হোসেন৷ ফিল্ডিংয়ের সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান মিরাজ৷ এদিকে সাইড স্ট্রেইন চোটে পড়েছেন রুবেল। মিরাজের এক্সরে রিপের্টে আঙুলে চিড় ধরা পড়েনি। আর মিরাজ আর রুবেল উভয়েরই চোট কয়েকদিনের বিশ্রামে সেরে যাবে।
এদিকে নিউজিল্যান্ড সফরের ৫ দিন আগে চোট পাওয়া তাসকিনকে এখনো পুরোপুরি ফিট বলে মনে করছেন না নির্বাচকেরা। এদিকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দরুণ দেরি হওয়ায় তাঁকে এখনো প্রিমিয়ার লীগের কোনো দল দলে নেয়নি। তাই অনেকটা আশঙ্কায় রয়েছে তাসকিনের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। আবার সাইফুদ্দিন ভুগছেন ডান হাতে টেনিস এলবোর সমস্যায়। তবে সাইফুদ্দিন আছেন আরেক সমস্যায়৷ প্রিমিয়ার লীগ চলতে থাকায় তিনি ব্যথা উপশমের ইনজেকশন নিতে পারছেন না। কারণ, ওষুধটি নিলে পরবর্তি তিন সপ্তাহ তিনি খেলতে পারবেন না৷ আবার ওষুধ না নিলে পুরোপুরি ঠিকও হবেন না। এই ধরনের ইনজুরিতে লম্বা থ্রো করার সময় ব্যথা অনুভূত হলেও অন্যান্য কাজ স্বাভাবিকভাবেই করা যায়। তবে সময় সুযোগ করে ওষুধটি নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ৷
তবে দ্রুতই সুস্থ ও ঝুরঝুরে হয়ে উঠুক পুরো টাইগার স্কোয়াড – এমনটাই আশা দেশবাসীর।