চট্রগ্রামে ২১৫ রানের মামুলি লক্ষ্যটা কঠিন করে জিতলো বাংলাদেশ। আফগান ফজলহক ফারুকির ছোবলে বাংলাদেশ যখন ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তখন জেতার আশা ছেড়ে দিয়ে হতাশ দর্শক চোখ সরিয়ে নেয় টিভির পর্দা থেকে।
কিন্তু আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়ানোয় আফগানদের যেন হেসে খেলে হারালো টাইগাররা। আর বাংলাদেশকে জেতানোর সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ার কাছাকছি পৌঁছে গেছিলো আফিফ ও মিরাজ জুটি।
৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর চরম বিপর্যয় পেছনে ফেলে আফিফ-মিরাজ গড়েছেন শতরানের জুটি। সপ্তম উইকেটে এই জুটি ১৪৩ বলে স্পর্শ করে সেঞ্চুরি। তাদের এমন লড়াইয়ে চরম বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। ভয়হীন ব্যাটিংয়ে ভেঙে দিলেন ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। পেছনে ফেলেছেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে ১২৭ রানের জুটিকে। ২০১৮ সালে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইমরুল-সাইফুদ্দিন এই রেকর্ড গড়েছিলেন।
নিজ দেশের রেকর্ড ভাঙার পর ছুটতে থাকেন ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদের ১৭৭ রানের বিশ্বরেকর্ড ভাঙার দিকে। তবে তা সম্ভব না হওয়ায় আফিফ-মিরাজ বাংলাদেশকে জিতিয়ে অপরাজিত থেকেছেন ১৭৪ রানে। মাত্র ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে এই বিশ্বরেকর্ড গড়া সম্ভব না হলেও অন্য একটি রেকর্ড কিন্তু ঠিকই গড়েছেন এই তরুণ জুটি।
দলীয় ৫০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানো আর কোনো দলের ক্রিকেটাররা সপ্তম উইকেটে এতো রানের জুটি গড়তে পারেনি। অসাধারণ ব্যাটিং করে দেশকে জেতানো আফিফ ৯৩(১১৫)* ও মিরাজ ৮১(১২০)* রানে অপরাজিত ছিলেন।