৩০ মে থেকে মাঠে গড়িয়েছে দ্বাদশ বিশ্বকাপ আসর। সেই অনুসারে আজ বিশ্বকাপের চতুর্থ দিন। যেখানে দিনের একমাত্র খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও সাউথ আফ্রিকা। দ্বাদশ বিশ্বকাপে আজ বাংলাদেশ তাদের উদ্ধোধনী ম্যাচ খেলতে নামলেও আফ্রিকা আসরে আজ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে।
এদিকে বিশ্বকাপ আসরে অন্যতম ফেরারিট ভারত বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ৫ জুন। অথাৎ বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর সাত দিন পর ভারত তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে। যদিও এর মধ্যেই অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান দুটি করে ম্যাচ খেলে ফেলবে।
৫ জুন ভারতের প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকা। এটি ভারতের উদ্ধোধনী ম্যাচ হলেও প্রোটিয়াদের এটি হবে আসরের তৃতীয় ম্যাচ। এছাড়া ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার দিনে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সূচি অনুযায়ী ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু তাদের খেলোয়াড়দের আটসাঁট সূচির আইপিএল খেলার ধকল কাটিয়ে উঠতে বিশ্বকাপের আগে কমপক্ষে ১৫ দিন বিশ্রাম (রিকভারি) চেয়েছিল ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। আর সেটা করতেই ২ জুনের ম্যাচটি ৫ জুন স্থানান্তর করা হয়েছে।
ভারতকে সুবিধা দিতে গিয়ে অন্য দলগুলোর প্রতি কঠোর হয়েছে আইসিসি। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক দক্ষিণ আফ্রিকা আজ রোববার বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটিও হেরে যায়, সেক্ষেত্রে ৫ জুন ভারতের বিপক্ষে তারা বেশ চাপে থেকে মাঠে নামবে। ব্যাকফুটে থেকে ভারতের মতো একটি দলের বিপক্ষে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কতোটা যুক্তিযুক্ত? অবশ্য এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ভারত বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দল। কিন্তু তাদের প্রথম ম্যাচের দিন অপর একটি দলের তৃতীয় ম্যাচ খেলাটা কতোটা ভারসাম্যপূর্ণ? এটা কী ফুটবল বিশ্বকাপ কিংবা অন্য কোনো মেগা ইভেন্টে সম্ভব হতো? হয়তো হতো না।
ভারত যখন মাঠে নামবে তখন বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ হয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে ভারত ভালোভাবেই অন্য দলগুলো, পিচ ও কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারনা পেয়ে যাবে। বিশ্বকাপের সময় ভারতকে এমন সুবিধা দেওয়াটা অনেকটা দৃষ্টিকটু হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বকাপের ছয়দিন পর ভারত কেন প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে সেই প্রশ্ন এখন অনেকের কাছেই এক ধাঁধার নাম।