কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ৩৬০ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬৬ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। ৯৫ রানের হার দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ পর্ব শেষ করল বাংলাদেশ।
ভারতের দেওয়া পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের সূচনাটা খারাপ ছিল না। সৌম্য ও লিটন জুটিতে ৪৯ রান আসে। তবে এরপরই ছন্দপতন। বুমরার বলে ইনিংসের দশম ওভারে সৌম্য ও সাকিবের জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৯ বল থেকে ২৫ রান করা সৌম্যেকে ধোনির হাতে তালুবন্ধী করান বুমরা। আর গোল্ডেন ডাকের শিকার হন সাকিব।
তৃতীয় উইকেটে লিটন ও মুশফিক জুটি জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠে। তারা দুজনে মিলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৬৯ রানের সময় আবার ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। চাহলের ঘূর্ণিতে লিটন ও মিঠুনের জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন ৯০ বলে ১০টি চারের মারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ধোনির হাতে স্ট্যাম্পিং হন। আর ব্যক্তিগত শূন্য রানে গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরে যান মিঠুন।
এরপর ১৬৯ থেকে ২১৬ এই ৪৭ রান তুলতেই পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদশ। যেখানে দলীয় ২১৬ রানেই কুলদ্বীপ তিনটি উইকেট তুলে নেন। এ সময় একে একে ফিরে যায় মুশফিক, মোসাদ্দেক ও সাব্বির। মুশফিক ৯৪ বল থেকে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯০ রান করে আউট হন। এছাড়া সাব্বির ৭ রান করতে পারলেও রানেই খাতাই খুলকে পারেননি মোসাদ্দেক।
শেষদিকে মিরাজ ও সাইফুদ্দীন জুটি ৪৬ রান যোগ করেন। যা বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধানটা কমিয়ে আনে। সাইফ ১৮ রানে চাহলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর মিরাজ ২৭ রানে রান আউট হলে ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
ভারতের হয়ে বল হাতে কুলদ্বীপ ৪৭ এবং চাহল ৫৫ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া বুমরা ২টি ও জাদেজা নেন ১টি উইকেট।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধোনি ও রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৫৯ রান সংগ্রহ করে ভারত। রাহুল করেন ১০৮ এবং ধোনি খেলেন ১১৩ রানের ইনিংস। এছাড়া অধিনায়ক কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।