বুধবার সাউদাম্পটনের রোজ বেলে বিশ্বকাপ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৭ রান তুলল। ভারতের হয়ে চাহাল বল হাতে একাই নিয়েছেন চারটি উইকেট।
ভারতের বিপক্ষে আফ্রিকার শুরুটা মোটেই ভালো হয়ানি। দুই ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক দলীয় ২৪ রানের ভেতরে প্যাভিলনে ফিরে যান। দুজনকেই বিদায় করেন বুমরা। শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে তিন ও চার নম্বরে ব্যাট করতে আসা ফাফ ডু প্লেসিস ও রসি ভ্যান দার ডুসেন। এতে ১৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৫৬।
তবে ২০তম ওভারে প্রোটিয়া শিবিরে ফের জোড়া আঘাত আনেন দীপক চাহল। ওভারের প্রথম বলে তিনি প্রথমে ২২ রান করা ডুসেনকে বোল্ড আউট করেন। এরপর ওভারের ষষ্ঠ বলে ডু প্লেসির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। ডু প্লেসি ৫৪ বল থেকে ৩৮ রান করেন।
দলীয় ৮৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এসময় ডুমিনিকে ৩ রানে ফিরিয়ে দেন কুলদ্বীপ। যা আফ্রিকাকে বড় সংকটে ফেলে দেয়। সেই সংকট থেকে টেনে তোলার চেষ্টায় এখন ক্রিজে লড়াই করছেন মিলার ও আনডিলি। ষষ্ঠ উইকেটে জুটিতে তারা ৪৬ রানে যোগ করেন।
দলীয় ১৩৫ রানে এই জুটির ইতি টানেন চাহল। ৪০ রান থেকে ৩১ রান করা মিলারকে ফিরতি ক্যাচে বিদায় করেন তিনি। মিলারের বিদায়ের পর ক্রিজে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি অন্য ব্যাটসম্যান আনডিলি। চাহালকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বড় শর্ট হাঁকাতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন। ৬১ বল থেকে ৩৪ রান করেন তিনি।
অষ্টম উইকেটে মিলার ও রাবাদার জুটিতে লড়ই করার মতো রান তোলে আফ্রিকা। ৬৬ রান তোলার পর ৫০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিলার বুমরার শিকার হলে এই জুটির সমাপ্তি ঘটে। ৩৪ বল থেকে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস খেলেন মিলার। শেষমেশ ৫০ ওভার শেষে ৯ উেইকেট হারিয়ে ২২৭ রানে শেষ হয় আফ্রিকার ইনিংস।
ভারতের হয়ে চাহল ৫১ রানে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া বুমরা ৩৫ এবং ভুবনেশ্বর ৪৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন। যাদব ৪৬ রানে নেন ১টি উইকেট।