ভারতে মিনি রঞ্জি ট্রফি খ্যাত ডঃ কে থিম্মাপায়া স্মৃতি মাল্টি ডে অল ইন্ডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেও ড্র করলো বিসিবি একাদশ। চার দিনের ম্যাচের শেষ দিনে স্বাগতিকদের দেওয়া ৩৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতেই খেলা ড্র ঘোষণা করে আম্পায়াররা।
শুক্রবার চার দিনের ম্যাচের শেষ দিনে ৮ উইকেটে ২৭৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে স্বাগতিকরা। ৩৭ রান তুললেই শেষ দুটি উইকেট হারায় তারা। মুকেশ চৌধুরিকে ১৩ রানে বোল্ড করে তাদের ইনিংসের ইতি টানেন তাসকিন আহমেদ। একই সাথে নিজের পাঁচ উইকেট পূরণ করেন তাসকিন। আজ দিনের অন্য উইকেটটি নেন নাইম হাসান।
পাতিল ক্রিকেট একাডেমির হয়ে এর আগে বৃহস্পতিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে সারদেশাই দলীয় সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন। এছাড়া বাকিদের মধ্যে ইকবাল আব্দুল্লাহ করেন ৭০ রান। যার সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশো রানের স্কোর পেরিয়ে যায় তারা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ২৫ রানের লিড ও দ্বিতীয় ইনিংসসহ বিসিবি একাদশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৬ রান।
জবাব দিতে নেমে বিসিবি একাদশে ৪২ রানের মধ্যে প্যাভিলনে ফিরে যান দুই ওপেনার। জহুরুল ১১ এবং সাদমান ইসলাম ১৬ রান করেন। এরপর ৭৫ রানের জুটি গড়ে বিসিবি একাদশের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে মমিনুল ফিরে গেলে এই জুটির সমাপ্তি হয়।
অর্ধশতকের পথে শান্ত ৬ টি চার ও ১ টি ছক্কার মারের সুন্দর এক ইনিংস খেলেন। ৩ উইকেটে ১৫৬ রান তোলার পরেই নিশ্চিত ভাবেই ফল অসম্ভব দেখে দুই অধিনায়কের সিদ্ধান্তে আম্পায়ার ড্র ঘোষণা করেন। শান্ত অপরাজিত থাকেন ৫৯ ও সাইফ হাসান ২১ রানে।
এর আগে, পাতিল ক্রিকেট একাডেমি প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান তোলে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে একাই ৬টি উইকেট নেন তাইজুল। স্বাগতিকদের ৩৩১ রানের জবাবে বিসিবি একাদশ ৩০৬ রানে অলআউট হয়েছিল। ব্যাটিং ইনিংসে বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংসটি খেলেন সোহান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (১ম ইনিংস): ৩৩১/১০ (১০২.৫ ওভার) সারদেশাই ১২৮, তাইজুল ৩৩.৫-৭-১৪৪-৬, তাসকিন ২৩-৫-৪৭-২
বিসিবি একাদশ (১ম ইনিংস): ৩০৬/১০ সোহান ৮৭; মুকেশ ১৬-২-৬৫-৩
ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (২য় ইনিংস): ৬৮ ওভারে ২৭৪/৮ নওশাদ ১০৮; তাসকিন ২০-২-৯১-৫
বিসিবি একাদশ (২য় ইনিংস): ১৫৬/৩ (৫২ ওভার) শান্ত ৫৯, সাইফ ২১; আকিব ২১/১