বিসিবির ডাকে সাড়া না দিয়ে উল্টো আবারো ক্রিকেটারদের সংবাদ সম্মেলনের ডাক। গুলশান-২ এর পাঁচ তারকা হোটেল সিক্স সিজনে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করছেন ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ও পরবর্তীতে কথা বলেন সাকিব।
প্রথমে ক্রিকেটারকেউ কথা না বললেও শেষদিকে এসে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্যই আমাদের চাওয়াগুলো। কেননা ক্রিকেট থেকে চলে গেলে, রিটায়ার্ড করলে অন্য কাজ খুঁজতে হয়।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই আগের ১১ দফার সাথে দুই দাবি বাড়িয়ে ক্রিকেটারদের ১৩ দফা সংবাদমাধ্যম উত্থাপন করেন তিনি। ভারত সফরে ক্রিকেটাররা যাবেন কি না এ প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ভারত সফরে ক্রিকেটাররা যাবে। তবে দাবী আগে মানতে হবে বোর্ডকে।।
এছাড়াও বলেন বিসিবির আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে বোর্ডের সাথে বসবেন ক্রিকেটাররা।
বিসিবি মেনে নিতে প্রস্তুত
ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবী। বিসিবির মানতে নেই বাধা। কিন্তু এরপরও নেই সমাধান। এমতাবস্থায় চলমান বাংলাদেশের ক্রিকেটের সংকট নিরসনের জন্য আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও কোয়াব সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়কে গনভবনে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
যত ব্যস্তই থাকুক দেশের ক্রিকেটের সবসময় খোঁজ রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ক্রিকেটের এমন অবস্হা তাই চিন্তিত করেছে তাকেও। তাইতো আজ বিদেশ সফরের আগেও ব্যস্ততার মধ্যে বোর্ড প্রধানকে জরুরি তলব।
ক্রিকেটারদের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ক্রীড়ি প্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যেকোন সময় চাইলেই তার সাথে দেখা করার পারমিশন আছে ক্রিকেটারদের। কিন্তু তাদের এমন ক্ষোভের কথা জানতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। কেন সুযোগ থাকার পরেও তাকে অবহিত না করে আন্দোলনে গেলো ক্রিকেটাররা সে কারনে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
গনভবন থেকে বিসিবিতে পৌঁছেই মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বার্তা দেন। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন ‘আমরা অপেক্ষায় আছি ক্রিকেটারদের সাথে বসার জন্য। তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তাদের জন্য বিসিবির দরজা কেবল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নয়, ওরা আসতে চাইলে আমরা এরপরও অপেক্ষা করবো। আমাদের মাননীয় সভাপতিও এখানে আছেন, উনিই বলেছেন আপনাদের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের এই বার্তা দেওয়ার জন্য।’