শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৯৫ রানের লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে মুশফিক ও সাব্বিরের হাতে জীবনে পাওয়া ম্যাথিউস ৮৭ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশি ভক্তদের হতাশায় পুড়িয়েছেন।
টসে হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে শুভ সূচনা এনে দেন শফিউল ইসলাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তিনি এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান আভিশকা ফার্নান্দোকে।
তবে ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর করুনারত্নে ও কুশন পেরেরার ব্যাটে ঘুড়ে দাঁড়ায় লংকানরা। এই জুটিতে ৮৩ রান তোলার পর করুনারত্নেকে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল। ২ রানের ব্যবধানে অন্য সেট ব্যটসম্যান কুশল পেরেরাকে ৪২ রানে থামিয়ে খেলায় ফিরে আসে বাংলাদেশ।
চতুর্থ উইকেটে জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলান ম্যাথুস ও কৌশল মেন্ডিস। এই দুজনের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথটা সুগম করে শ্রীলঙ্কা। তাদের জুটির ১০১ রানের মাথায় বাংলাদেশ দলকে চতুর্থ সফলতা এনে দেন সৌম্য সরকার।
হাফ সেঞ্চুরি করা কুশল মেন্ডিসকে ৫৪ রানে বাউন্ডারিতে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে বিদায় জানান সৌম্য। তবে এই জুটিতে আরো আগেই প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
শফিউল ইসলামের করা ইনিংসের ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ সাইড দিয়ে বের হওয়ার পথে ম্যাথুসের ব্যাটে হালকা ছোঁয়া দিয়ে যায়। ক্যাচ ধরতে ঝাঁপিয়েও পড়েন মুশফিক। কিন্তু বল তার গ্লাভসের ফাঁক গলে পড়ে যায়। সেসময় ৩২ রানে ব্যাট করছিলেন এঞ্জেলো ম্যাথুস । জীবন পেয়ে রানের গতি দ্রুত করেন তিনি। এরপর ৭০ বল থেকে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন। এই ব্যাটসম্যান।
ম্যাথুসকে দ্বিতীয় জীবন দান করেন সাব্বির রহমান। মিড অফে মিরাজের বলে ৬২ রানে ব্যাট করা ম্যাথুসকে জীবন দেন তিনি। যার কারণে জরিমানাটা ভালোই দেন ম্যাথুস। ৫০তম ওভারে ৯০ বল থেকে ৮৭ রানে থামেন তিনি। তার ইনিংসটি ৮টি চার ও ১টি ছক্কার মারে সাজানো ছিল।
ম্যাথুস ছাড়াও ডেথ ওভারে লঙ্কানদের হয়ে ঝড় তোলেন শানাকা। ১৪ বল থেকে ৩০ রান করেন তিনি। যার সুবাদে শেষ ১০ ওভারে ১০৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। যা তাদেরকে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট ২৯৪ রানের বিশাল পাহাড় চূড়ায় নিয়ে যায়।
বল হাতে প্রথসে নজর কাড়া শফিউল ডেথ ওভারে খেই হারিয়ে ফেলেন। ৬৮ রানের বিনিময়ে তিনি নেন ৩টি উইকেট। সৌম্য শেষ ওভারে ২টিসহ ৫৬ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। তাইজুল ৩৪ রান ও রুবেল ৫৫ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট নেন।