আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। জাতীয় দল আর্জেন্টিনার বাইরে সারা বছরই খেলেন স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনায়। এই ফুটবল তারকাকে বাংলাদেশিরা টিভির পর্দায় দেখেই বেশি অভ্যস্থ। তাকে হাতের নাগালে পাওয়ার কথা হয়তো আমরা চিন্তাও করতে পারি না।
তবে এবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামের এক তরুণ বার্সেলোনায় থাকার সুবাদে সামনাসামনি সাক্ষাৎ পেলেন বার্সার দুই তারকা লিওনেল মেসি ও সুয়ারেজের। তাদের সঙ্গে কথা বলে সেলফি তোলার অভিজ্ঞতার কথা তিনি জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের তরুণ ইকবাল হৃদয় কাজের সুবাদে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে থাকেন বার্সেলোনাতে। বৃহস্পতিবার কাজ শেষ করে রাত ১১ টায় পর বার্সেলোনা বিমানবন্দরের কোলঘেঁষা কাস্তিলদাফেলস সৈকতসংলগ্ন রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় রাস্তার পাশের সাইড বেঞ্চে মেসির ছেলেকে খেলা করতে দেখেন। প্রথম দেখায় বিশ্বাসটাকে পোক্ত করতে কাছে যেতেই দেখে সেখানে আছেন সুয়ারেজ ও তার স্ত্রী।
এই ঘটনাটির ব্যাখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৃদয় বলেন, ‘সুয়ারেজের সঙ্গে ওর বান্ধবী না স্ত্রী, তা নিশ্চিত ছিলাম না। সঙ্গে বেবি সিটে বসানো একটা বাচ্চা ছিল। আমি ছবি তুলতে চাইলে খুব আনন্দ নিয়েই আমার সঙ্গে ছবি তুললেন। হাই-হ্যালো হলো। আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের পরবর্তী ম্যাচের জন্য শুভকামনা জানালাম। জবাবে সে আমাকে ধন্যবাদ জানাল।’
তবে এর পরে ঘটে সবচেয়ে অবাক করার ঘটনাটি। এবার যেন সৃষ্টিকর্তা তাকে দুই হাত ভরিয়ে দিলেন। সুয়ারেজের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে ঘাড় ঘুরাতেই দেখেন মেসিকে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটছেন। এমন একটি দৃশ্য হৃদয় নিজের চোখে দেখছেন তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি।
এই ঘটনার ব্যাখায় তিনি বলেন, ‘সুয়ারেজকে দেখার পর মেসিকেও দেখব, এটা তো কল্পনাতেও ছিল না। মেসির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় আমার হাত কাঁপছিল। ছবি তুলতে চাইলে সাধারণ এক মানুষের মতোই ছবি তুললেন। আমি তখনো উত্তেজনায় কাঁপছি। মুখ দিয়ে কথাই যেন বের হচ্ছিল না। কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে বললেন, সকালে বাচ্চাদের স্কুলে দিতে হবে। তাই ঘরে ফেরার তাড়া। বলে বিদায় নিলেন।’