এইতো মাত্র কদিন আগে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মাত্র ৪০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল।
আর এদিকে রুবেলের একমাত্র সন্তান এখনও বোঝে না তার বাবা আর কখন ও ফিরবে না। এখনও বাবার জন্য অপেক্ষা করে থাকে সে। রুবেলের স্ত্রী চৈতি ফারহানা রূপা কিভাবে বুঝাবেন ছেলেকে? কিইবা করার আছে!
আরও পড়ুন : এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান আফ্রিদি!
ব্রেন টিউমারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াইয়ে হার মেনেছেন রুবেল। কিন্তু রুবেল হার মানলেও তার স্বপ্নকে মরে যেতে দেবেন না স্ত্রী চৈতি। রুবেলের ইচ্ছে ছিল, তার ছেলে তারই মতো ক্রিকেটার হবে। চৈতি সেই স্বপ্ন সত্যি করতে চান।
এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে তিনি অভিভাবক হিসেবে পাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামকে।
আরও পড়ুন : আগামী বছর পাকিস্তানে হবে বয়স্কদের বিশ্বকাপ
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে চৈতি বলেন, ‘রুবেলের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলেটাকে ভালো ক্রিকেটার বানানোর। আমি সর্বোচ্চ পরিমাণে চেষ্টা করব একজন ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করার। মেয়র বলেছেন, পারিবারিক অভিভাবক হিসেবে উনি থাকবেন সবসময়। আমরা হয়ত বিসিবিকেও পাশে পাব।’
মেয়র আতিকুল রুবেলের কবরকে স্থায়ীকরণের অনুমোদন দিয়েছেন। বিদেশ থেকে ফিরে আতিকুল আজ রুবেলের বাসায় যান তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।
আরও পড়ুন : টেস্ট দলে জায়গা পেলো মোসাদ্দেক
সেখানে মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে চৈতি বলেন, ‘মাননীয় মেয়রের কাছে আমি অসম্ভব রকমের কৃতজ্ঞ। রুবেল মারা যাওয়ার পর আসলে আমার একটাই চাওয়া ছিল। আমার আর কোনো চাওয়া নেই। রুবেলকে যেন আমরা দেখতে পারি। তার শরীরটা তো ওখানেই আছে। আমরা পুরো পরিবার মেয়রের কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
এছাড়া কবর স্থায়ীকরণের জন্য যে আবেদন করেছিলেন, সেটা উচ্চমহলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংবাদমাধ্যমের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রুবেলের সহধর্মিনী।
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএ