আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসটা কাটলো দুঃস্বপ্নের মতোই। টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৪৬ রানেই ৮ উইকেটের পতন। তবে শেষ বিকেলে স্বস্তি ছড়িয়েছে মোসাদ্দেক ও তাইজুলের ব্যাটিং। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯৪ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। আফগানদের ইনিংস থেকে এখনো ১৪৮ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
আফগানদের করা ৩৪২ রানের জবাবে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সাদমান। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন লিটন কুমার ও সৌম্য সরকার। তবে এই জুটির ৩৭ রানের মাথায় সৌম্যকে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান নবী। সৌম্য ৬৬ বল খেলে ১৭ রান করেন। অপর ব্যাটসম্যান লিটন দাস ৬৬ বল থেকে ৩৩ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড আউট হন।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই রশিদ খান তুলে নেন সাকিব ও মুশফিকের উইকেট। সাকিক ১১ করতে পারলেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি মুশফিক।
শেষ সেশনে মমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ নতুন জুটি গড়লেও সেটি বেশি দূরে যেতে দেননি রশিদ খান। তার বল নিচু হয়ে এসে রিয়াদের(৭) উইকেট ভেঙে দেয়। এতে ১০৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসা দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ।
এ সময় ৬৯টি বল খেলে ১৩তম ফিফটি তুলে নেন মমিনুল। কিন্তু ফিফটির পরই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। নবীর বলে আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে মিড অফে আসগর আফগানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মমিনুল।
এরপর শুরু হয় মোসাদ্দেকের লড়াই। মিরাজকে সঙ্গী করে লড়াই চালালেও কায়েস আহমেদের বল ভেতরে টেনে বোল্ড হয়ে ১১ রানে ফিরে যান মিরাজ।
মিরাজের বিদায়ের পর অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মোসাদ্দেক ও তাইজুল। আফগান বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দিন শেষ করেন তারা দুজন।
৪৪ রানে অপরাজিত আছেন মোসাদ্দেক। আর গুরুত্বপূর্ণ ১৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত তাইজুল। রান যাই হোক, ৫৫ বল মোকাবিলা করে দিনের শেষে পার্শ্ব-নায়কের ভূমিকায় ছিলেন এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা আফগানিস্তান আজ শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। যার শুরুটা হয় তাইজুলের হাত ধরে। আজগর আফগানকে ব্যক্তিগত ৯২ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান তিনি।
সপ্তম উইকেটে জাজাই ও রশিদ খান জুটির ২১ রানের মাথায় আবার আঘাত হানেন তাইজুল। এবার জাজাইকে ৪১ রানে বোল্ড আউট করেন তিনি।
এরপর আফগানদের হয়ে ঝড়ো রান তোলেন অধিনায়ক রশিদ খান। ৬১ বল থেকে ৩টি ছয় ও ২টি চারের মারে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম অর্ধশতক করেন। তবে এরপরই ৫১ রানে তাকে থামিয়ে আফগানদের প্রথম ইনিংসে দাড়ি টানেন মিরাজ।
এর আগে বৃহস্পতিবার টেস্টের প্রথম দিনে আফগানদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন রহমত শাহ। তিনি ১৮৭ বল থেকে ১০১ রান করেছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাকিব আল হাসান ও নাঈম হাসান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের।