ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগ পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনীর কাছে ৪৫ রানে হারল আশরাফুলের দল মোহামেডান। আসরে আশরাফুলের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি ও রকিবুলের ৯৬ রান সত্বেও পরাজয়ের স্বাদ পেল সাদা-কালো জার্সি ধারীরা।
আবাহনীর দেওয়া ৩০৫ রানে লক্ষ্য তাড়া করেত নেমে শুরুতেই ব্যাটিং ধ্বসের মুখে পড়ে মোহামেডান। ২০ রানে ৩টি আর ৬১ রানের মধ্যে শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় মোহামেডান।
এ সময় দলকে খাদ থেকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও রকিবুল ইসলাম। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা ১২৮ রানের বড় জুটি গড়েন। যা মোহামেডানকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল।
এই জুটিতে নয় ইনিংস পর আসরে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান আশরাফুল। চলতি আসরে এর আগে তার নয়টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৪৪। বাকি আটিটি ইনিংস ছিল যথাক্রমে ০, ১০, ৪*, ২৮, ৬, ৪, ৩ এবং ১১ রানের।
দলীয় ১৯৬ রানের সময় ৭৯ বল থেকে ৯৬ রানের ইনিংস খেলা রকিবুল মাশরাফির শিকারে পরিণত হলে পঞ্চম উইকেট হারায় মোহামেডান। রকিবুল ফেরার পর সোহাগ গাজীকে নিয়ে আশরাফুল দলকে এগিয়ে নেন। তবে এই জুটিতে ৪১ রান তোলার পর সৌম্য সরকারের শিকারে পরিণত হন আশরাফুল।
৮৫ বল থেকে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আশরাফুল। তার ইনিংসটি ৬টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল। আশরাফুলের বিদায়ে মোহামেডানের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৩০। তখনও ১০ ওভারের মতো বাকি। ৫৮ বলে দরকার ছিল ৭৪ রান। তবে ২৯ রান তুলতেই শেষ ৪ উইকেট হারায় দলটি। ৪৬.৩ ওভারে ২৫৯ রানে অলআউট হয় মোহামেডান।
বল হাতে এদিন মোহামেডানের হয়ে ৪০ রানে ৩টি উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এর মধ্যে দিয়ে লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আবদুর রাজ্জাকের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। বর্তমানে মাশরাফির উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০২।
মাশরাফির ছাড়াও ৮ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন মোসাদ্দেক। ৭ ওভারে ৪০ রানে সৌম্য নেন ২টি উইকেট। নাজমুল অপু ও সাইফুদ্দীন নেন ১টি করে উইকেট।