লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট ৩১৪ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ গড়েছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩১৫ রান। তবে পরিসংখ্যান বলছে শ্রীলঙ্কার কোনো মাঠেই তিনশো কিংবা এর অধিক রান চেজ করে জিততে পারেনি কোনো দল।
এই ম্যাচে টসে জিতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পেরেরা ও মেন্ডিসের ১০০ রানের জুটির পর জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে খেলায় ফেরায় বাংলাদেশকে।
শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। তবে শুরুতেই বাংলাদেশ দলকে সফলতা এনে দেন শফিউল। তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ফার্নান্দোকে ৭ রান ফিরিয়ে দেন।
এরপর ইনিংসের ৩২ তম ওভার পর্যন্ত আধিপত্ত ছিল শ্রীলঙ্কার। দ্বিতীয় উইকেটে করুনারত্বে ও কুশল পেরেরা ৭৩ বল থেকে ৯৭ রান যোগ করে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। এই জুটির করুনারত্নকে ৩৬ রানে ফিরিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মিরাজ। ইনিংসের ৩৩ ও ৩৪ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। ৯৯ বল থেকে ১৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১১ রান করা পেরেরাকে থামান সৌম্য এবং ৪৩ রান করা মেন্ডিসকে ফেরান রুবেল। যদিও ফিন্ডার আবেদন আম্পায়ার নো করে কিন্তু নিজেই ক্রিজ ছেড়ে দেন মেন্ডিস।
দলীয় ২১২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখান অভিজ্ঞ ম্যাথিউস ও লহিরু থিরিমান্নে। এই জুটিতে ৬০ রান তোলার পর প্রতিরোধ গড়েন মুস্তাফিজ। লহিরু থিরিমান্নেকে ২৫ রানে বিদায় করেন তিনি। ৪৯তম ওভারে দলীয় স্কোর তিনশো পেরোনোর পর ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে প্যাভিলনে ফিরে যান ম্যাথিউস। তাকেও বিদায় করেন মুস্তাফিজ।
শেষ দিকে ডি সিলভা ১২ বল থেকে ১৮ রান করেন। এছাড়া বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা লাসিথ মালিঙ্গা ৬ বল থেকে ৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে ৯ ওভারে ৬২ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। মুস্তাফিজ তার ১০ ওভারে ৭৫ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া মিরাজ, রুবেল ও সৌম্য ১টি করে উইকেট নেন।