10.5 C
New York
Wednesday, April 24, 2024

Buy now

যা চেয়েছে তাই দিয়েছি তবু কেন এই ধর্মঘট? পাপন

নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ধর্মঘট শুরু করেছে। হঠাৎ করেই সাকিব-তামিমদের এই আন্দোলনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন। তিনি দাবি করেন সব ক’জন ক্রিকেটারের সাথেই তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে। কিন্তু এমন একটি আন্দোলনে যাওয়ার আগে তারা কেন একটিবারের জন্যও তাকে জানানোর প্রয়োজনবোধ করলো না এই বিষয়টি তিনি বুঝছেননা!

পাপনের ভাষ্য অনুযায়ী শুধু ক্রিকেট বিষয়ে নয়, এমনকি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনেক বিষয়েও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তার কয়েকটি উদাহরণ তিনি তুুলে ধরলেন সংবাদ সম্মেলনে। আর ক্রিকেটারদের প্রতি তারা এতটা উদার হওয়ার পরও কিভাবে তারা বোর্ডের প্রতি এতো অভিযোগ তুললো সে হিসাব মিলাতে পারছেননা তিনি।

কথা প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘ধরুন ইমরুলের বাচ্চা অসুস্থ। আমাকে রাতে ফোন করলো, ওর বাচ্চার অবস্থা খারাপ। অ্যাপোলোতে হচ্ছে না, সিঙ্গাপুরে নিতেই হবে। বলল, আমার ভিসা নেই, কালকের মধ্যে ভিসা করতে হবে। আমি বললাম-টিকিট কেটে ফেলো। আমি একদিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা করলাম। রাতে আমাকে ফোন করলো, বাচ্চার অবস্থা খারাপ ভিআইপিতে নিলে ভালো হয়। সেটাও করে দিলাম।’

তামিম-সাকিবের সঙ্গেও কেমন ব্যক্তিগত সম্পর্ক তুলে ধরতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে হঠাৎ দেখি তামিমের নাম নেই। তাকে ফোন করলাম-তামিম তুমি খেলছো না? তামিম বলল-একটু ব্যথা পেয়েছি, চার পাঁচদিন রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। বড় কিছু না। সাকিব যখন সিপিএলে, আমি নিজে থেকে দুইবার ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছি-কি অবস্থা কেমন আছো? কবে আসবা? সে-ও আমাকে নিজে থেকে ফোন দেয়। ভারত সফর নিয়ে একবার জানতে চাইলাম, কেমন হবে স্কোয়াড, কি করবে। বললাম, একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে- ও তো ফর্মে নেই, কেন রাখছো, নতুন কাউকে নাও। সাকিব বলল, না, ওকে আমার দলে দরকার।’

খেলোয়াড়দের সঙ্গে এই যোগাযোগটা নিয়মিতই হচ্ছে উল্লেখ করে পাপন বলেন, ‘তাদের সঙ্গে এটা কিন্তু নিয়মিতই। আমি তো দূরে থাক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার যোগাযোগটাও তাদের আছে। এটাই বাস্তবতা। যদি তাদের কিছু বলার থাকে, তবে তো আমাকেই বলার কথা।’

বেতন বাড়ানোর দাবির বিষয়ে পাপন যোগ করেন, ‘শ্রীলঙ্কায় গতবার সিরিজ খেলে এসেছে দল। আমরা যখন আসি তাদের বেতন ছিল দেড় লাখ টাকা। আমরা সেটা বাড়িয়ে করেছি আড়াই লাখ। শ্রীলঙ্কা থেকে আসার পর এয়ারপোর্টেই মাশরাফি আর তামিম আমাকে ধরে বলে-ভাই, আমাদের বেতনটা একটু বাড়িয়ে দেন না। আমি বলি-বাড়ানো তো হয়েছে। তারা বলল-আরেকটু বাড়ান না, ভাই! আমাকে একজন বলল-একটু বেশি করে বাড়িয়ে দেন। আরেকজন বলল-পঞ্চাশ হাজার বাড়িয়ে দেন। তাহলে হয় তিন লাখ। কিন্তু আমি বললাম, তোমাদের বেতন এখন থেকে চার লাখ। এটাই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক। এখন পর্যন্ত কোনো খেলোয়াড় বলতে পারবে, কিছু চেয়েছে আর আমি দেইনি? আমি বুঝতে পারছি না, কি কথা হচ্ছে কেন হচ্ছে। আসলেই বিশ্বাস হচ্ছে না।’

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,913FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles